নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ শিকারের প্রস্তুতিকালে পায়রা নদী ও সাগর মোহনা থেকে ৩৫টি ট্রলারসহ ১৫০ জেলেকে গ্রেপ্তার করেছে টাস্ক ফোর্স।
শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) ভোর পর্যন্ত এ অভিযান পরিচালনা করে উপজেলা প্রশাসন, মৎস্য বিভাগ, কোস্টগার্ড ও নৌপুলিশের যৌথ দল।
ইলিশের প্রজনন বৃদ্ধি ও মা ইলিশ রক্ষায় গত ৪ অক্টোবর থেকে ২২ দিন দেশের নদী-সমুদ্রে মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সরকার। এ সময়ে ইলিশ শিকার, বিক্রয়, পরিবহন বন্ধ থাকবে।
মৎস্য বিভাগ জানায়, নিষেধাজ্ঞার শেষ সময় ঘনিয়ে আসায় অনেক জেলে আগেভাগে নদীতে নামার প্রস্তুতি নেয়। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) রাতে প্রশাসনের বিভিন্ন সংস্থার যৌথ উদ্যোগে পায়রা নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে একটানা অভিযান চালানো হয়। এ সময় ৩৫টি ট্রলারসহ ১৫০ জন জেলেকে আটক করা হয়।
পরে তাদের ট্রলারসহ তালতলী উপজেলার জয়ালভাঙা এলাকায় নিয়ে আসা হয়। প্রতিটি ট্রলারের জেলেদের এক হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। জব্দ সব ট্রলার স্থানীয় ইউপি সদস্যদের জিম্মায় শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) রাত ১২টা পর্যন্ত আটক রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) সেবক মণ্ডল বলেন, ‘‘রাতভর পায়রা নদীতে অভিযান চালিয়ে এসব জেলেদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মা ইলিশ রক্ষার নিষেধাজ্ঞা অমান্য করার অপরাধে প্রত্যেক ট্রলারের জেলেদের এক হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।’’ তিনি জানান, নিষেধাজ্ঞা শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোনো ট্রলার ওই স্থান ত্যাগ করতে পারবে না।
বরগুনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মহসীন রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘‘দেশে ইলিশ সম্পদ রক্ষায় আমরা বিন্দু পরিমাণ ছাড় দেব না। এই মাছ জেলেরাই ধরবে, জেলেরাই বিক্রি করবে। ২৫ তারিখ রাত ১২টার আগে একজন জেলেকেও সাগরে নামতে দেওয়া হবে না।’’