কিশোরগঞ্জ সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জিয়াউর রহমান সরকারের স্বাস্থ্যপ্রতিমন্ত্রী (১৯৭৮-১৯৮২) ডা. ফজলুর করিমের ছেলে সদ্য সাবেক বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট ফয়জুল করিম মুবিনকে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টায় আনুষ্ঠানিকভাবে সংবাদ সম্মেলনে কিশোরগঞ্জ আইনজীবী ফোরাম তাকে বহিষ্কার করে। ফয়জুল করিম মুবিন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম কিশোরগঞ্জ শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। পদবীর পাশাপাশি এ সংগঠনের প্রাথমিক সমস্য পদ থেকেও তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সংগঠনের সভাপতি অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের এ সব তথ্য জানিয়েছেন।
গত বুধবার (২২ অক্টোবর) বিকালে ‘অ্যাডভোকেট ফয়জুল করিম মুবিন’ নামে ফেসবুক পেজ থেকে লাইভে এসে ফয়জুল করিম মুবিন বলেন, ‘‘শেখ হাসিনা যেহেতু বলেছেন, তিনি অবশ্যই দেশে ফিরবেন। আমি রাজনীতি করেছি দেশের জন্য, দলের জন্য নয়। তাই এখন মনে করছি, দেশের নেতৃত্বে শেখ হাসিনার প্রয়োজন।’’
লাইভ ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবরটি প্রচারিত হয়।
ওই লাইভে মুবিন আরো বলেন, ‘‘বাংলাদেশের রাজনীতি এখন নতুন এক অধ্যায়ে প্রবেশ করছে। শেখ হাসিনা শুধু আওয়ামী লীগের নয়, তিনি এই দেশের স্থিতিশীলতার প্রতীক। দেশ ও জনগণের স্বার্থে এখন ঐক্যের সময়।’’
গত মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) মুবিন ওই ফেসবুক পেজ থেকে লাইভে এসে বলেন, ‘‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে আমি অ্যাডভোকেট ফয়জুল করিম মুবিন, কিশোরগঞ্জ থেকে ইংরেজি ২১ অক্টোবর অসাংবিধানিক সরকার কর্তৃক জুলাই সনদের তীব্র বিরোধিতা করি।’’
অ্যাডভোকেট ফয়জুল কবীর মুবিন দীর্ঘদিন কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তিনি জেলা বিএনপির উপ-দপ্তর সম্পাদক, পৌর বিএনপির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। চলতি বছরের ২০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত জেলা বিএনপির সম্মেলনে আগের কমিটি বিলুপ্ত করে নতুন কমিটির কাজ শুরু হয়।
গত ৫ অক্টোবর মুবিন ফেসবুকে পোস্ট করে বিএনপির সকল পদ ত্যাগ করেন।
আওয়ামী লীগের এই বৈরি সময়ে কেন এই দলে যোগ দিলেন, এমন প্রশ্নের জবাবে মুবিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিকে ক্ষমতায় বসানোর চেষ্টা চলছে। তাকে প্রতিহত করার জন্যই আমি আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছি। শেখ হাসিনাই প্রকৃত দেশপ্রেমিক, বাংলাদেশের মানুষের একমাত্র আশ্রয়স্থল। আমি আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে নিজেকে গর্বিত মনে করছি।’’
তবে কী পদ্ধতিতে কার মাধ্যমে আওয়ামী লীগে যোগ দিলেন— এ প্রশ্নের কোনো উত্তর দেননি তিনি।
এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘‘বিএনপিতে এখন মুবিনের কোনো পদ নেই। এছাড়া তার মাথাও ঠিক নেই। কাজেই তার আওয়ামী লীগে যোগদানেরও কোনো গুরুত্ব নেই।’’