ক্যাম্পাস

ঢাবির ডেপুটি রেজিস্ট্রারকে ওএসডি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কোষাধ্যক্ষের ব্যক্তিগত সহকারী (ডেপুটি রেজিস্ট্রার) রুহুল আমিনকে ওএসডি করেছে প্রশাসন।

রবিবার (২৬ অক্টোবর) গণমাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছেন ডাকসুর সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক মুসাদ্দিক আলী ইবনে মুহাম্মদ। 

তিনি বলেন, “কোষাধ্যক্ষ ড. জাহাঙ্গীর আলম স্যারের অফিসে কর্মরত ২০২৪ সালের ৩ আগস্ট জুলাই গণহত্যার সমর্থনে খুনী হাসিনার পক্ষে মিছিলে নেতৃত্বদানকারী ফ্যাসিবাদের দোসর ডেপুটি রেজিস্ট্রার রুহুল আমিনকে কিছুক্ষণ আগে ওএসডি করা হয়েছে।”

তিনি আরো বলেন, “কোষাধ্যক্ষ স্যার রুহুল আমিনকে ফ্যাসিবাদের দোসর হিসেবে জানা সত্ত্বেও ‘তার কোনো বিকল্প নেই’ এমন মন্তব্য করে তার বিরুদ্ধে গত দেড় বছর কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। এক কথায়, তাকে নিজ অফিসে শেল্টার দিয়ে রেখেছিলেন।”

মুসাদ্দিক বলেন, “গত ১ বছরে এই ফ্যাসিবাদের দোসরদের বিচারের দাবিতে অসংখ্যবার লিখিত ও মৌখিকভাবে দাবি জানিয়েছি। এমনকি ডাকসু হওয়ার পরো ৬-৭ বার দাবি জানানো হয়েছে। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় আমরা আজ বাধ্য হয়ে রেজিস্ট্রার ভবন ঘেরাও করি। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাকে ওএসডি করতে বাধ্য হয়েছে।”

মুসাদ্দিক আরো বলেন, “ডাকসুর ফান্ডের বিষয়ে আগামীকাল ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ, অর্থ পরিচালক, ডাকসু ভিপি, জিএস ও এজিএস এর সমন্বয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। সেই বৈঠকে ডাকসুর বাজেট নিয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। রুহুল আমিন ছাড়াও যেসকল ফ্যাসিবাদের দোসর শিক্ষক, ছাত্র ও কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন, যারা জুলাই গণহত্যাসহ অতীতের সকল ফ্যাসিবাদী কর্মকান্ডের বৈধতা দিয়েছে— তাদের প্রত্যেককেই কালবিলম্ব না করে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।”

“রুহুল আমিনকে শুধু ওএসডি করলে হবে না তাকে কাল বিলম্ব না করে আইনের আওতায় তুলে দিতে হবে। আমরা আমাদের ন্যায্য অধিকার বুঝে পাওয়ার আগ পর্যন্ত থামব না। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের যারা পিছন থেকে কলকাঠি নেড়ে ডাকসুকে অকার্যকর করার চেষ্টা করছেন, তাদের এই ষড়যন্ত্র সফল হবে না। এখনো সময় আছে সাবধান হয় যান,” যোগ করেন এই ডাকসু নেতা।