বগুড়ার শেরপুরে খালেদা খাতুন (৪০) নামের এক নারীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে তার স্বামীকে আটকের পর আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
সোমবার (২৭ অক্টোবর) সকালে শেরপুর পৌর শহরের উত্তর সাহা পাড়া কালিতলা এলাকা থেকে ওই নারীর স্বামী চা বিক্রেতা মিলন হোসেনকে আটক করে পুলিশ।
নিহতের পরিবারের সদস্য ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, পারিবারিক কলহের জের ধরে মিলন প্রায়ই তার স্ত্রী খালেদাকে মারধর করে ঘরে আটকে রাখতেন। গত শনিবার রাতেও মিলন স্ত্রীকে মারধর করে ঘরে আটকে রাখেন। রবিবার রাতে খালেদার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। তিনি বমি করতে থাকেন। সোমবার ভোরে মিলন প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় তাকে শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেন। সেখানে চিকিৎসক খালেদাকে মৃত ঘোষণা করেন। মরদেহ বাড়িতে এনে স্বাভাবিক মৃত্যু দাবি করে দাফনের প্রস্তুতি নেন মিলন। ঘটনা জানাজানি হলে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পুলিশ এবং স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়ায় মিলনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। খালেদার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস এম মঈনুদ্দীন বলেছেন, সন্দেহভাজন হিসেবে মিলনকে আটক করা হয়েছে। পরে সে স্ত্রীকে মারধরের কথা স্বীকার করেছে। তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। মারধর বা ঘরে আটকে রাখায় গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে কি না, নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আমাদের তদন্ত চলছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।