চেক ডিজঅনার মামলায় আদালতের নির্দেশে ২০ লাখ টাকা জমা দিয়ে শর্তসাপেক্ষে জামিন পেয়েছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম ওরফে চাইনিজ রফিক।
বুধবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ ১ম আদালতের বিচারক আব্দুল বাশির মো. নাহিদুজ্জামান তার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।
আসামি পক্ষের আইনজীবী নুরে আলম সিদ্দিকী আসাদ এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘২১ অক্টোবর আদালতের বিচারক রফিকুল ইসলামকে এক বছরের কারাদণ্ড এবং ৪০ লাখ টাকা জরিমানা করেন। এ রায়ের বিরুদ্ধে আইন মোতাবেক চেকে বর্ণিত সমপরিমাণ টাকার অর্ধেক অর্থাৎ ২০ লাখ টাকা ব্যাংকে জমা দিয়ে আসামি আলাদতে আত্মসমর্পণ করেন। আদালত ৩০ নভেম্বরের মধ্যে আপিল দায়ের করার শর্তে তাকে জামিন দিয়েছেন।’’
৬৩ বছর বয়সী রফিকুল ইসলাম চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার প্রফেসরপাড়া মহল্লার আবুল কালাম আজাদের ছেলে। ২০১৩ সালের ২৭ মার্চ মামলা দায়ের করেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার রামকৃষ্টপুর মহল্লার বাসিন্দা ও ব্যবসায়ী মো. হাম্মাদ আলী।
বাদী পক্ষের আইনজীবী মো. রবিউল ইসলাম বলেন, ‘‘আসামি রফিকুল ইসলাম ট্রেজারির মাধ্যমে আদালতে চেক ডিজঅনারের মামলায় রায়ে আরোপিত জরিমানার অর্ধেক অর্থাৎ ২০ লাখ টাকা জমা দেন। পরে তিনি আত্মসমর্পণ করে জামিনের জন্য আবেদন করলে ১ মাসের মধ্যে আপিলের শর্তে ৫০০ টাকা বন্ডে জামিন মঞ্জুর করেন আদালতের বিচারক। আইনে যেহেতু আপিলের বিধান রয়েছে, সেজন্য আমাদের কোনো আপত্তি নেই।’’
মামলার আর্জিতে বাদী উল্লেখ করেন, ব্যবসার জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার বাসিন্দা হাম্মাদ আলীর কাছ থেকে ৪০ লাখ টাকা ধার নেন বিএনপি নেতা রফিক। কিছুদিনের মধ্যে টাকাগুলো ফেরত দেওয়ার কথা থাকলেও তা দিতে তিনি গড়িমশি করেন। একপর্যায়ে ২০১৩ সালের ১ জানুয়ারি হাম্মাদ আলীকে ১০ লাখ করে মোট ৪০ লাখ টাকার চারটি চেক দেন রফিক। পরে হাম্মাদ আলী চেকগুলো জমা দিলে পর্যান্ত টাকা না থাকায় ব্যাংক সেগুলো প্রত্যাখান করে ডিজঅনার সনদ দেয়। ব্যবসায়ী হাম্মদ আলী টাকা না পেয়ে ওই বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি লিগ্যাল নোটিশ দেন রফিককে। এরপরও টাকা না দেওয়ায় ওই সালের ২৭ মার্চ চিফ জুডিসিয়াল আদালতে মামলা দায়ের করেন হাম্মাদ আলী।