স্বাস্থ্য

বিএমইউ বহির্বিভাগে ডাক্তার দেখাতে অনলাইন সেবা চালু

টিকিট কাটা ও ডাক্তার দেখাতে দীর্ঘ লাইনের ভোগান্তি এড়াতে বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএমইউ) অনলাইন সেবা চালু করা হয়েছে।

বুধবার (২৯ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ডা. মিল্টন হলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়।

অনলাইনে চিকিৎসা কার্যক্রম সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে বিএমইউ ও পূবালী ব্যাংকের সাথে একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়।

অনুষ্ঠান থেকে জানানো হয়, বাংলাদেশ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমইউ) বহির্বিভাগ টিকেট কাটতে এখন থেকে আর দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে হবে না। রোগীরা বিএমইউ এর ওয়েবসাইটে (https://bmu.ac.com) গিয়ে অনলাইনে পেমেন্ট সম্পন্ন করে ব্যবস্থাপত্রটি (টিকিট) প্রিন্ট করে টিকিটে উল্লেখিত বিভাগ অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়ে ডাক্তার দেখিয়ে পরামর্শ নিতে পারবেন।

মূলত রোগীদের ভোগান্তি নিরসন ও দুর্ভোগ লাঘবসহ অযাচিত ভিড় এড়াতে এবং বহিবির্ভাগ চিকিৎসা সেবা সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যেই অনলাইন টিকিটিং সিস্টেম চালু করেছে বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়। এর ফলে এখন থেকে বাসায় বসেই অনলাইনে কাটা যাবে বিএমইউ এর বহির্বিভাগের টিকিট। একইসঙ্গে হাসপাতালে এসে ডাক্তার দেখাতে করতে হবে না দীর্ঘ অপেক্ষা। 

অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলম বলেন, “অনলাইন টিকিট সিস্টেম দেশের প্রয়োজনে চালু করা হয়েছে। যে কোনো দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা সবসময় জনগণ কেন্দ্রিক হয়। শিক্ষা ও গবেষণা দেশের মানুষের জন্যই হয়। এই বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি হয়েছে দেশের মানুষের জন্য। আমরা অনেকদিন থেকে ভাবছিলাম রোগীদের যেন দীর্ঘ অপেক্ষা করতে না হয়।”

তিনি আরো বলেন, “অনলাইন টিকিটিং সিস্টেম দীর্ঘ অপেক্ষা ও ভোগান্তি কমাবে। এই পদ্ধতিতে রোগীরা তাদের চাহিদা মতো সময়ে চিকিৎসককে দেখাতে পারবেন। সময়ের ব্যবধানে সবকিছু অনলাইন সিস্টেমে হবে। অনলাইন নানাদিক থেকে সুবিধা দেবে।”

অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলম বলেন, “ওয়েটিং টাইমটাকে চেম্বার বা হাসপাতাল থেকে বাসায় নিয়ে যেতে চাই। হাসপাতালে অপেক্ষা করা লাগবে না। তবে এই কার্যক্রমে শুরুর দিকে কিছুটা সমস্যা হতে পারে। তা ওভারকাম করার জন্য সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। বিশেষ করে সাংবাদিক, গণমাধ্যমের সহযোগিতা প্রয়োজন। তারা ইতিবাচকভাবে তুলে ধরলে বিএমইউ এর এই প্রচেষ্টা অবশ্যই সাফল্য পাবে।”

তিনি বলেন, “আধুনিক বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যেতে হলে অটোমেশনের বিকল্প নাই। বিএমইউর অটোমেশন কার্যক্রমকে এগিয়ে নিতেই হবে।”

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মো. আবুল কালাম আজাদ, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. মুজিবুর রহমান হাওলাদার, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. নাহরীন আখতার, প্রক্টর ডা. শেখ ফরহাদ, আইসিটি সেলের পরিচালক অধ্যাপক ডা. একেএম আখতারুজ্জামান, পূবালী ব্যাংক লি. এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসাসেবা, উচ্চতর মেডিক্যাল শিক্ষা ও গবেষণায় একটি আস্থার নাম। আজকেরই এই উদ্যোগ দেশের জন্য একটি মাইলফলক। এর মাধ্যমে মূলত রোগীরাই সবচাইতে বেশি উপকৃত হবেন। আগামীতে সেবার সব ক্ষেত্রেই এটা চালু করতে পারলে রোগীরা স্বাছন্দ্যে টিকিট কাটা থেকে শুরু করে সব পরীক্ষা-নিরীক্ষা সম্পন্ন করে তার প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা নিতে পারবেন।