জাতীয়

‘সাম্য, মর্যাদা ও আলোকিত সমাজের স্বপ্নে ৭১ ও ২৪ এর তরুণরা’

সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেছেন, “২৪ এর তরুণ প্রজন্ম ৭১ এর শহীদদের আদর্শ ও আত্মত্যাগের উত্তরসূরী। ২০২৪ সাল বাংলাদেশের ইতিহাসে এক নতুন মোড় এনেছে।”

তিনি বলেন, “সাম্য কেবল একটি ধারণা নয়, এটি একটি জীবনদর্শন। সাম্য, মানবিক মর্যাদা এবং আলোকিত সমাজ গঠনের স্বপ্ন বহন করেছিল ৭১ ও ২৪ এর তরুণরা। তাই সাম্যের সমাজ ও গণতন্ত্রের কাঠামো শক্তিশালী করতে হলে জুলাইয়ের আত্মদানে অনুপ্রাণিত সেই তরুণদের বারবার স্মরণ করতে হবে।”

বুধবার (২৯ অক্টোবর) রাজধানীর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র মিলনায়তনে ‘মুক্ত গণমাধ্যম মঞ্চ’ আয়োজিত ‘গণমাধ্যমের জুলাই আত্মদান’ স্মারক উন্মোচন ও জুলাই সংলাপ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মুক্ত গণমাধ্যম মঞ্চের মুখপাত্র মোহাম্মদ আবদুল্লাহ মজুমদার, সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন আক্তারুজ্জামান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) লে. কর্নেল (অব.) কামাল আকবর, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ড. হেলাল উদ্দিন, এনসিপির যুগ্ম-সদস্য সচিব ফরিদুল হক প্রমুখ।

শহীদ সাংবাদিক পরিবারের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন শহীদ তাহির জামান প্রিয়’র মা শামসি আরা জামান।

শারমীন এস মুরশিদ শহীদ সন্তানদের স্মরণ করে বলেন, “তোমরা বেঁচে থাকবে কোটি প্রাণে। আগামীর দেশ গঠনে, বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠায় এবং সব অন্যায়-অসঙ্গতি দূরীকরণে সাংবাদিক, রাজনৈতিক দল ও তরুণ সমাজের সম্মিলিত ভূমিকা প্রয়োজন।”

তিনি আরো বলেন, “জুলাই আকাঙ্ক্ষাকে জিইয়ে রাখার অন্যতম শক্তি হবেন সাংবাদিকরা। জাতির বিবেক হিসেবে তাদের কলমই হতে পারে ন্যায়ের ও আলোর বাংলাদেশ গঠনের হাতিয়ার।” শহীদ সাংবাদিকদের আত্মত্যাগ যেন বৃথা না যায়, সে বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে শহীদ পরিবার ছাড়াও জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।