সাগরিকায় বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান স্টেডিয়ামের গ্যালারি থেকে ‘ভুয়া-ভুয়া’ স্লোগান। সচরাচর এই স্লোগান প্রতিপক্ষের জন্য হলেও গত দুই ম্যাচে স্বাগতিক দলকে কোণঠাসা করে ফেলেছিল!
মাঠের ক্রিকেটে ভালো করতে না পারলে দর্শকরা মুখ ফিরিয়ে নেয় সেই ইতিহাস তো বহু পুরোনো। ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে ক্রিকেট ফিরলে নতুন আশা তৈরি হয়। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ওয়ানডে সিরিজে হারানোয় টি-টোয়েন্টিতে ভালো করার বিশ্বাস সৃষ্টি হয়। কিন্তু সাগরিকার ২২ গজে তো সব ওলটপালট। ড্যারেন স্যামির শিষ্যরা বাংলাদেশকে টানা দুই ম্যাচ হারিয়ে জিতে নিয়েছে সিরিজ।
আজ তাদের হোয়াইওয়াশ করানোর মিশন। বাংলাদেশের এড়ানোর। সমীকরণটা ৩-০ হবে নাকি ২-১, উত্তরটা জানা যাবে আজ রাতেই। দুই দলের শেষ টি-টোয়েন্টি শুরু হবে আজ সন্ধ্যা ৬টায়।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের আজকের লড়াইটা প্রতিশোধ নেওয়ার। বদলার। গত বছর ক্যারিবীয়ান দ্বীপপুঞ্জে গিয়ে স্বাগতিক দলকে ৩-০ ব্যবধানে টি-টোয়েন্টি সিরিজে হারায় বাংলাদেশ। আজকের ম্যাচটি জিতলে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার বদলা ভালোভাবে নিতে পারবেন শেই হোপ, রিমারিও শেফার্ডরা। দলের ওপেনার আলিক আথানাজে সেই কথাই বলেছেন গণমাধ্যমে, ‘‘হ্যাঁ, আমরা বাংলাদেশকে হোয়াইটওয়াশ করতে চাই। আমরা কাউকে হালকাভাবে নিচ্ছি না এবং শুক্রবার আমরা সেরাটা দিয়ে চেষ্টা করব। আমরা অবশ্যই এই সুযোগ লুফে নিব।’’
এখন পর্যন্ত টি-টোয়েন্টিতে ২১ ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এর মধ্যে বাংলাদেশের জয় ৮টিতে এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ জিতেছে ১১ ম্যাচে। ২ ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়।
আধুনিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ডট বলের সুযোগ যেমন নেই তেমনি মারকাটারি ব্যাটিংয়েরও বিকল্প নেই। অথচ টি-টোয়েন্টিতে দুটির কোনোটি করতে পারছেন না বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। সাদা বলের ক্রিকেটে ফরম্যাট যাই হোক নিজেদের ব্যাটিং ইনিংসের অর্ধেক বল ডট খেলাটা অভ্যাসে পরিণত করে ফেলেছে বাংলাদেশ। তাইতো আজকের ম্যাচে শুধু জয়-ই নয়, নিজেদের সামর্থ্য প্রমাণের ও আত্মসম্মান রক্ষার লড়াইও। ডট বল কমানো, মাঝের ওভারে স্ট্রাইক রোটেশন এবং ইনিংসের শেষ দিকে দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ের ছবি ফুটিয়ে তোলা।
সাগরিকায় দুই ম্যাচেই দর্শক উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। আজ সাপ্তাহিক ছুটির দিন। নিশ্চিতভাবেই দর্শক সমাগম বাড়বে। তাদের জন্য শেষ ম্যাচটা বাংলাদেশ জিততে পারলে দারুণ কিছুই হবে। অন্তত সান্তনা খুঁজে পাবে।