সারা বাংলা

ফেনী দ্বিতীয় কারাগারে ১৮০ বন্দিকে স্থানান্তর, ফুল দিয়ে বরণ 

ফেনীতে শুরু হয়েছে দ্বিতীয় কারাগারের কার্যক্রম। শনিবার (১ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে এর উদ্বোধন করা হয়। এ সময় জেল সুপার মো. দিদারুল আলম ও জেলার ফেরদৌস মিয়া বিভিন্ন কারাগার থেকে স্থানান্তরিত সাজাপ্রাপ্ত বন্দিদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেন।

চট্টগ্রাম বিভাগের ছয়টি জেলা কারাগার থেকে মোট ১৮০ জন বন্দিকে এ কারাগারে স্থানান্তর করা হচ্ছে। এর আগে ফেনী শহরের জেল রোড এলাকার পুরাতন জেলা কারাগার ভবনকে ‘ফেনী কারাগার-২’ ঘোষণা করা হয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ফেনী কারাগার–১ থেকে ২১ জন, চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ২৬ জন, কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ৭৪ জন, নোয়াখালী থেকে ১৫ জন, লক্ষ্মীপুর থেকে ১১ জন ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া কারাগার থেকে ৩৩ জন বন্দিকে ফেনী কারাগার-২ এ স্থানান্তর করা হচ্ছে।

ফেনী কারাগার-২ এ ১৯টি পদে মোট ৮৮ জন জনবল নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে। জেল সুপারসহ ৭৩ জন ইতোমধ্যে যোগ দিয়েছেন।

জেল সুপার মো. দিদারুল আলম বলেছেন, “ছয় জেলার বিভিন্ন মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ১৮০ জন বন্দিকে স্থানান্তর করা হচ্ছে। বন্দিদের থাকার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। কারাগারের চারপাশের দেয়াল সাড়ে তিন ফুট পর্যন্ত উঁচু করা ও কাঁটাতার লাগানোর কাজের বরাদ্দ পাওয়া গেলে দ্রুত সম্পন্ন করা হবে।”

তিনি জানান, বন্দিদের খাবার প্রস্তুতের জন্য কুমিল্লা ও চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে রান্নার কাজে অভিজ্ঞ ২৪ জন বন্দিকে বৃহস্পতিবার দুপুরে ফেনীতে আনা হয়েছে।

১৯১৫ সালে ফেনী শহরের মাস্টার পাড়ায় দেড় একর জমির ওপর উপ-কারাগার হিসেবে প্রথম ফেনী কারাগার প্রতিষ্ঠিত হয়। এর বন্দি ধারণক্ষমতা ছিল মাত্র ১৭২ জন। ১৯৯৮ সালে এটি জেলা কারাগারে উন্নীত হলেও আধুনিক কোনো সুবিধা ছিল না। পরে শহরতলীর কাজীরবাগ মৌজায় সাড়ে সাত একর জায়গায় ৩৯ কোটি টাকা ব্যয়ে নতুন জেলা কারাগার নির্মাণ কাজ শুরু হয়। সেখানে মোট ২৮টি ভবন নির্মিত হয়, ধারণক্ষমতা ৩৫০ জন। ২০১৯ সালের ১২ জানুয়ারি সেখানে বন্দি স্থানান্তর করা হয়।