সারা বাংলা

মাটি সরে ক্ষতিগ্রস্ত সেতু, ঝুঁকিতে ৩০ হাজার মানুষের চলাচল

নেত্রকোণার কলমাকান্দা উপজেলার মহাদেও নদীর ওপর নির্মিত একটি সেতুর দুই পাশের নিচের মাটি সরে গিয়ে বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। যে কারণে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে ৩০ হাজার মানুষকে। ২৭ বছর আগে নল্লাপাড়া এলাকায় নির্মিত নল্লাপাড়া সেতুটি কলমাকান্দা উপজেলা সদর ও রংছাতি ইউনিয়নের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম।

এলাকাবাসী জানান, সুনামগঞ্জের তাহেরপুর, মধ্যনগর ও নেত্রকোণার সীমান্তবর্তী পাঁচগাঁও, মহেশখলা এলাকার মানুষজন এই সেতুর ওপর নির্ভরশীল। প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০টি দূরপাল্লার বাস, শতাধিক ছোট যানবাহন এই সেতু ব্যবহার করে।

সরেজমিনে দেখা যায়, সেতুর পশ্চিম প্রান্তের মাটি নদীতে ভেসে গিয়ে প্রায় ১৫ থেকে ২০ ফুট লম্বা গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এখন কেবল ওপরের স্ল্যাবটি টিকে রয়েছে। যে কোনো সময় সেটি ভেঙে নদীতে পড়ার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। সেতুর উত্তর দিকের অবস্থাও একই রকম ঝুঁকিপূর্ণ। এলাকাবাসী দ্রুত নতুন সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন।

স্থানীয় ব্যাংকার হোসেন আহম্মেদ বলেন, “প্রতিবার বর্ষায় নদীর তীব্র স্রোতে সেতুর দুই পাশের মাটি ধসে যায়। তখন বড় গর্ত হয় এবং যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।”

রংছাতি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আনিসুর রহমান পাঠান বলেন, “সেতুটি এলজিইডির আওতাধীন। কিন্তু কোনো তদারকি নেই। আমরা স্থানীয়ভাবে একাধিকবার এটি মেরামত করেছি। বারবার কর্তৃপক্ষকে অবহিত করলেও স্থায়ী সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।”

কলমাকান্দা উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী মো. মমিনুল ইসলাম বলেন, “সেতুর দুই পাশে সতর্কতামূলক সাইনবোর্ড বসানো হয়েছে। এছাড়া অস্থায়ীভাবে স্ল্যাব দিয়ে চলাচল সচল রাখা হয়েছে। খুব শিগগিরই পাশে বিকল্প একটি ডাইভারশন রাস্তা তৈরি করা হবে।”

নেত্রকোনা জেলা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, “ঝুঁকিপূর্ণ এ সেতুর পরিবর্তে ৫২ মিটার দীর্ঘ একটি নতুন সেতুর নকশা অনুমোদিত হয়েছে। প্রকল্প প্রস্তাব অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। অনুমোদন পেলেই টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।”