প্রমত্তা মেঘনা নদীর ভাঙন থেকে রক্ষায় চাঁদপুর শহর সংরক্ষণ পুনর্বাসন প্রকল্পের কাজ চলছে ধীর গতিতে চলছে। এরমধ্যে যত্রতত্র ব্লক ফেলে রাখায় ভোগান্তিতে পড়েছেন নদী পাড় এলাকায় বসবাসকারীরা। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, সমস্যা সমাধানে অচিরেই পুরোদমে কাজ শুরু হবে এবং প্রকল্পের নির্দিষ্ট সময়েই কাজ শেষ করা সম্ভব হবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে, ভাঙনরোধে ১৯৭২ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত দেড়শ’ কোটি টাকা ব্যয়ে চাঁদপুরের নতুনবাজার এলাকায় ১৭৩০ মিটার শহররক্ষা বাঁধ নির্মাণ করা হয়। পরবর্তীতে ২০০৯-২০১০ সালে আরো ২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে পুরান বাজার এলাকার ১৬৩০ মিটার বাঁধ নির্মাণ করা হয়। এরপর থেকেই বদলাতে থাকে ভাঙনের চিত্র। তবে দীর্ঘ দিন সংস্কার কাজ না হওয়ায় প্রায় প্রতি বর্ষায় ভাঙন দেখা দিত বাঁধে। বিশেষ করে ২০১৯ সাল থেকে বাড়তে থাকে ভাঙনের তীব্রতা। তবে নতুন করে আবারো বাঁধ সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য মতে, চাঁদপুর শহরের নতুন বাজার লঞ্চঘাট থেকে পুরানবাজার রনগোয়াল এলাকা পর্যন্ত প্রায় ৩৩৬০ মিটার এলাকায় এই শহর রক্ষা বাঁধের কাজ শেষ হলে প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ মানুষ উপকৃত হবে। প্রকল্পে ব্যয় হচ্ছে ৮২৭ কোটি টাকা। প্রকল্পে প্রায় ২৩ লাখ বিভিন্ন সাইজের ব্লক, ১০ লাখের অধিক জিওব্যাগ ও ২৯ হাজার মিটার জিও পাইপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বালি ভর্তি জিও ব্যাগ ডাম্পিং এর কাজ শেষ হয়ে এখন চলছে পাথরের তৈরি ব্লক ডাম্পিং করা।
এদিকে, যত্রতত্র ব্লক ফেলায় স্থানীয়দের নানা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। নদীতে গোসলসহ যাবতীয় কাজ করতে দুর্ঘটনার আশঙ্কা বাড়ছে। এজন্য ডিজাইন প্লানে পরিবর্তন এনে দ্রুত সংস্কার কাজ শেষের দাবি জানান স্থানীয়রা।
এ বিষয়ে চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জহুরুল ইসলাম বলেন, “প্রকল্পের ২২% কাজ শেষ। এই প্রকল্পের কাজ যথাসময়ে শেষ করতে তা বাস্তবায়ন ও মনিটরিংয়ের জন্য ডিপার্টমেন্টের নিজস্ব টাস্ক ফোর্সসহ ফিজিক্যালি ও ভিডিওর মাধ্যমে তদারকি চলছে। চাঁদপুর শহর সংরক্ষণ পুনর্বাসন প্রকল্পে মোট ১৯টি প্যাকেজে কাজ করছে একাধিক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।”
তিনি আরো বলেন, “২০২৪-এর মে মাসে শুরু হওয়া এই প্রকল্পের কাজের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে ২০২৭ সালের জুন মাসে। দ্রুতই পুরোদমে কাজ শুরু হবে। আশা করছি যথাসময়ে কাজ শেষ করা সম্ভব হবে।”