সারা বাংলা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রতিপক্ষের হামলা: গুলিবিদ্ধ যুবকের মৃত্যু

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে প্রতিপক্ষের গুলিতে আহত এক যুবক চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। গুলিবিদ্ধ তিনজন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নবীনগর সার্কেল) পিয়াস বসাক বলেন, ‘‘পূর্বশত্রুতাসহ আধিপত্য বিস্তারের জের ধরে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত শিপনের মৃত্যু হয়েছে।’’ 

আজ রবিবার (২ নভেম্বর) সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিপন মিয়ার (৩০) মৃত্যু হয়। তার বাড়ি নবীনগর উপজেলার বড়িকান্দি ইউনিয়নের নুরজাহানপুর গ্রামে।

চিকিৎসাধীন তিনজন হলেন,  নবীনগর উপজেলার আলমনগর গ্রামের বাসিন্দা ইয়াছিন মিয়া (২০), বড়িকান্দি ইউনিয়নের থোল্লাকান্দি গ্রামের এমরান হোসেন (৩৮) ও চরলাপাং গ্রামের নুর আলম (১৮)। এমরান উপজেলার শ্যামগ্রামের মোহিনী কিশোর স্কুল ও কলেজের শিক্ষক। আর নুর আলম হোটেলের কর্মচারী।

পুলিশ, প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বড়িকান্দি ইউনিয়নের নুরজাহানপুর গ্রামে মোন্নাফ মিয়া ও তার ছেলে শিপনের সঙ্গে থোল্লাকান্দি গ্রামের রিফাত ও আরাফাত মিয়ার বিরোধ চলছিল। শনিবার (১ নভেম্বর) রাতে বড়িকান্দি গণি শাহ মাজার বাজারের একটি হোটেলে আড্ডা দিচ্ছিলেন শিপন মিয়া। এ সময় আরাফাতের নেতৃত্বে সশস্ত্র দল হোটেলে ঢুকে গুলি চালায়। এতে শিপন, হোটেলের দুই কর্মচারী ইয়াসিন ও নুর আলম গুলিবিদ্ধ হয়। হামলার পর আরাফাত ও তার সহযোগীরা দ্রুত পালিয়ে যায়। 

শিপনের গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পেয়ে মোন্নাফ মিয়ার নেতৃত্বে একদল লোক গণি শাহ মাজারের অদূরে তালতলায় এমরান হোসেনের কার্যালয়ে হামলা করলে এমরান গুলিবিদ্ধ হয়। ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষ এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।