ক্যাম্পাস

অবিলম্বে গণভোটের দাবি চাকসুর

জুলাই সনদের আইনি স্বীকৃতি দিতে অবিলম্বে গণভোট আয়োজনের দাবি জানিয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু)।

সোমবার (৩ নভেম্বর) বিকেলে চাকসুর অফিশিয়াল পেজে সহ-সভাপতি (ভিপি) ইব্রাহীম হোসেন রনি ও সাধারণ সম্পাদক (জিএস) সাঈদ বিন হাবিব স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞাপ্তিতে এ দাবি জানানো হয়েছে। 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জুলাই সনদে স্বাক্ষর করেও কিছু রাজনৈতিক দল ধারাবাহিকভাবে সেই সংস্কার বাস্তবায়নের পথে বাধা দিয়ে তরুণ প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে। তারা এমন সব মৌলিক সংস্কারের বিরোধিতা করছে, যা জুলাই বিপ্লবের মূল লক্ষ্যগুলোর সঙ্গে সরাসরি সাংঘর্ষিক।

পিএসসি, দুদক, ন্যায়পাল, জুডিশিয়ারি, মহা-হিসাব নিরীক্ষকসহ রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানসমূহকে দল-মুক্ত, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক করার সংস্কার প্রস্তাবের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে তারা ক্ষমতার কেন্দ্রীভূত নিয়ন্ত্রণ ও দলীয় প্রভাব বজায় রাখার নীতি অনুসরণ করছে। যে বৈষম্যমূলক নিয়োগ ও রাষ্ট্রীয় লুণ্ঠন ব্যবস্থার বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতা রক্ত দিয়েছে, সেই কাঠামো অপরিবর্তিত রাখার মাধ্যমে কিছু রাজনৈতিক দল স্পষ্টভাবে নতুন প্রজন্মের ন্যায্য আকাঙ্ক্ষা ও স্বপ্নের সঙ্গে উপহাস করছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, বিচারপতি নিয়োগে দলীয় প্রভাব কমিয়ে জুডিশিয়াল অ্যাপয়েন্টমেন্ট কমিশন গঠন, সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৭০ আধুনিকায়ন, প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় প্রধানের দায়িত্ব পৃথককরণ, আইন পেশায় রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত নির্বাচনের প্রতিবন্ধকতা, স্বতন্ত্র ফৌজদারি তদন্ত সার্ভিস গঠনে তাদের আপত্তি, রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কার এবং তরুণ প্রজন্মের ভবিষ্যৎ নির্মাণের পথে বড় বাঁধার সৃষ্টি করছে। এটি মূলত রাষ্ট্রের কাঠামোগত সংস্কারের বিরুদ্ধে অবস্থান এবং তরুণ সমাজের ভবিষ্যৎ ধ্বংসের এক গভীর ষড়যন্ত্র।

প্রস্তাবিত সংস্কারগুলো কোনো ব্যক্তি বা দলের স্বার্থের জন্য নয়, এগুলো দেশের, জনগণের এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের স্বার্থে রাষ্ট্রীয় পুনর্গঠন ও গণতান্ত্রিক আধুনিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার শর্তভিত্তিক রূপরেখা। জুলাই বিপ্লবোত্তর বাংলাদেশে রাষ্ট্রগঠনমূলক সিদ্ধান্ত জনগণই নেবে। আর সেই গণমতের সর্বোচ্চ প্রকাশের মাধ্যম হলো গণভোট। জনগণের প্রত্যক্ষ মতামত নিয়েই সংস্কারের প্রশ্নে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হতে হবে।

যদি কোনো রাজনৈতিক দল, গোষ্ঠী অথবা প্রাতিষ্ঠানিক শক্তি সংস্কারের পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়, তবে ছাত্র-জনতা সেই বাধা মোকাবিলায় সংগ্রামী ভূমিকা পালন করবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।