সারা বাংলা

বৃষ্টির পানিতে নিভল মহালছড়ির ভয়াবহ আগুন

খাগড়াছড়ির মহালছড়িতে বাজারে লাগা আগুনে ১৪টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পুড়ে গেছে। ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ শুরু করলেও পানির উৎসের সংকট থাকায় তারাও সেভাবে কিছু করতে পারেননি। এক পর্যায়ে বৃষ্টি শুরু হলে তার পানিতে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এরপর ফায়ার সার্ভিস ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা পুরোপুরি আগুন নেভাতে স্বক্ষম হন।

মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে বাজারে আগুন লাগে।

প্রাথমিকভাবে আগুনে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি। তবে, পুড়ে যাওয়া ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে জুতার দোকান, খাবার হোটেল, কসমেটিকস, কাপড়, মুদি ও স্বর্ণের দোকার রয়েছে।

এলাকাবাসী জানান, এক ঘণ্টার মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে কোনো পদক্ষেপ নিতে পারেননি কেউই। আগুন লাগার পরপরই মহালছড়িতে প্রচুর বৃষ্টি শুরু হয়।  বৃষ্টির পানিতে বাজারের আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় সেনাবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা পুরোপুরি আগুন নেভাতে সক্ষম হন। এর আগে, ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছালেও পানির উৎসের সংকটের কারণে আগুন নেভানোর কাজ সেভাবে শুরু করতে পারেনি।

মহালছড়ি বাজারের ব্যবসায়ী স্বপন চক্রবর্তী ও ইসমাইল হোসেন জানান, রাতে বাজারে আগুন লাগে। স্থানীয়রা আগুন নেভানোরে চেষ্টা করেও পারেননি।  ফায়ার সার্ভিসের লোকজন এলেও পানির অভাবে কাজ করতে পারেননি তারা। পরে বৃষ্টির পানিতে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। মহালছড়িতে ফায়ার সার্ভিসের ষ্টেশন না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা। তাদের দাবি, ফায়ার সার্ভিসের ষ্টেশন থাকলে ক্ষয়ক্ষতি হতো না।

খাগড়াছড়ি ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সহকারী পরিচালক মো. জাকির হোসেন জানান, রাত ১২টা ৪০ মিনিটে আগুন লাগার খবর পেয়ে দুইটি ইউনিট ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। জেলা সদর থেকে মহালছড়ি উপজেলার দূরত্ব ও পাহাড়ি পথ হওয়ায় যেতে সময় লেগেছে। রাত ১টা ৩০ মিনিটের দিকে গাড়ি পৌঁছালেও সেখানে পানির উৎসের সংকট থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে ব্যাপকভাবে কাজ করা সম্ভব হয়নি। 

তিনি আরো জানান, পরবর্তীতে মাটিরাঙা উপজেলা থেকে এক হাজার লিটার পানির একটি ট্যাংকার গাড়ি পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। এরই মধ্যে বৃষ্টি শুরু হলে আগুন অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আসে।  আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্তের পর বলা যাবে।