সাতসতেরো

ময়ূর সম্পর্কে এই তথ্যগুলো জানেন?

ময়ূর হলো এমন এক পাখি যে বন্য পরিবেশে প্রায় ১৫ বছর এবং বন্দী অবস্থায় প্রায় ২৩ বছর পর্যন্ত বাঁচতে পারে। নীল ময়ূর, সবুজ ময়ূর এবং কঙ্গো ময়ূর— সাধারণত এই তিন প্রজাতির ময়ূরের কথা জানা যায়। হিন্দু পুরাণশাস্ত্রে ময়ূর হলো পবিত্র পাখি। নারী ময়ূরের থেকে পুরুষ ময়ূর বেশি সুন্দর হয়ে থাকে। তবে পুরুষ ময়ূর সাধারণত বহুগামী হয়। 

সবুজ ময়ূর। ছবি: সংগৃহীত

বর্ষাকালে পুরুষ ময়ূরের বিশাল ও রঙিন পেখম থাকে, যা স্ত্রী ময়ূরকে আকর্ষণ করার জন্য প্রজনন ঋতুতে (সাধারণত বর্ষাকাল) মেলে ধরে নাচে। স্ত্রী ময়ূরের পালক সাধারণত অনুজ্জ্বল হয়। পুরুষ ময়ূর দেখতে খুব সুন্দর হলেও এদের কণ্ঠস্বর কর্কশ।

ময়ূর হলো এমন এক ধরণের পাখি যে মাটির গর্তে বাস করে, তবে গাছে বিশ্রাম নেয়।এরা তিতির পরিবারের সবচেয়ে ভারী ও বড় আকারের পাখিদের মধ্যে অন্যতম।ময়ূর হলো সর্বভূক। ফল, বেরি, শস্য এবং বীজের খোসা থেকে শুরু করে  কীটপতঙ্গ কিংবা ছোট ছোট প্রাণী সবই খায়। 

কঙ্গো ময়ূর। ছবি: সংগৃহীত

নীল ময়ূরের দেখা মেলে ভারত, নেপাল, বাংলাদেশ, মায়ানমার এবং শ্রীলঙ্কায়। সবুজ ময়ূর পাওয়া যায় দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মিয়ানমার থেকে জাভা পর্যন্ত এলাকায়। আর কঙ্গো ময়ূর থাকে মধ্য আফ্রিকার নিরক্ষীয় বনাঞ্চলে এদের দেখা মেলে। 

উল্লেখ্য,  ১৯৬৩ সালে ময়ূরকে ভারতের জাতীয় পাখি হিসেবে ঘোষণা করা হয়।

সূত্র: ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক