সারা বাংলা

চাঁপাইনবাবগঞ্জে পেঁয়াজের দামে সেঞ্চুরি

চাঁপাইনবাবগঞ্জে খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দামে অস্থিরতা বিরাজ করছে। একদিনের ব্যবধানে মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ৩০ টাকা বেড়ে খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা দরে। অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধিতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ ক্রেতারা।

জেলা কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের বাজার দর থেকে মূল্য বৃদ্ধির এ তথ্য জানা গেছে। 

ব্যবসায়ী ও সংশ্লিষ্টরা জানান, পেঁয়াজের এই অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির প্রধান কারণ হলো, স্থানীয় বাজারে সরবরাহের তীব্র ঘাটতি। চাঁপাইনবাবগঞ্জের নিজস্ব পেঁয়াজের মজুত প্রায় শেষ হয়ে যাওয়ায় এখন বাইরের পেঁয়াজের ওপর সম্পূর্ণভাবে নির্ভর করতে হচ্ছে।

বর্তমানে পেঁয়াজ আসছে পাবনা, সিরাজগঞ্জ, রাজশাহীর বানেশ্বর ও তাহেরপুর এলাকা থেকে। ওইসব অঞ্চলেও পেঁয়াজের দাম বাড়তি। পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের প্রতি মণের দাম এখন ৩ হাজার ৭০০ থেকে ৪ হাজার টাকার মধ্যে ওঠা-নামা করছে।

ব্যবসায়ীরা জানান, যেহেতু পেঁয়াজ তাদের বেশি দামে কিনতে হচ্ছে, তাই স্থানীয় খুচরা বিক্রেতারা পরিবহন ও অন্যান্য খরচ যোগ করে উচ্চমূল্যে এই পণ্যটি বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন।

শিবগঞ্জের সানাউল্লাহ নামে এক পেঁয়াজ ক্রেতা বলেন, “বাজারে এসে অবাক হয়েছি পেঁয়াজের দাম শুনে। রাতারাতি ৭০ টাকা কেজির পেঁয়াজের দাম ১০০ টাকা হয়ে গেছে। এত দাম দিয়ে পেঁয়াজ কিনতে হবে ভাবতেই পারছি না। অন্যান্য পণ্যের পাশাপাশি এখন পেঁয়াজও নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে।”

নভেম্বর জুড়ে দাম কমার সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের এক্সপার্ট কিউরার মোহা. শহীদুল ইসলাম। তিনি বলেন, “মজুতকারী ও পাইকারদের মধ্যে যাদের কাছে অল্প পরিমাণ পেঁয়াজ রয়েছে, তারাও সরবরাহ ঘাটতির সুযোগ নিয়ে দাম আরো বাড়িয়ে দিচ্ছেন। নভেম্বর মাসজুড়ে পেঁয়াজের এই উচ্চমূল্য বজায় থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। দাম স্থিতিশীল করতে হলে দ্রুত আমদানির মাধ্যমে বাজারে সরবরাহ বাড়াতে হবে।”

এদিকে ১ মাস ২৬ দিন ধরে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রয়েছে। এ বিষয়ে সোনামসজিদ স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপ-পরিচালক সমীর চন্দ্র ঘোষ বলেন, “সবশেষ এই স্থলবন্দর দিয়ে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসের ৯ তারিখ ২৯ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়। এরপর ভারত থেকে এই পণ্যটি আমদানি বন্ধ রয়েছে।”