এনসিপিকে নিয়ে দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকায় প্রকাশিত খবরকে মিথ্যা দাবি করে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেছেন, “মতি ভাইকে বলব হয় আপনি সাংবাদিকতা করেন, না হয় রাজনীতি করেন। প্রয়োজনে এনসিপি থেকে আপনাকে মনোনয়ন দেওয়া হবে।”
বুধবার (৫ নভেম্বর) রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গণতন্ত্র মঞ্চের আমন্ত্রণে কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে এই কথা জানান তিনি।
এদিকে, বুধবার প্রথম আলোতে ‘বিএনপির কাছে ২০ আসন চায় এনসিপি, চায় মন্ত্রিসভায়ও হিস্যা’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদও ভুয়া বলে দাবি করেছেন তিনি।
তিনি বলেন, “২০টি আসন ও তিনজন মন্ত্রীর প্রস্তাব সম্পূর্ণ ভুয়া ও মিথ্যা। প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারকে ভয় পাওয়ার দিন আর নেই।”
নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে শেয়ার করেন হাসনাত আব্দুল্লাহ।
নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর এই বক্তব্যে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে শেয়ার করেছেন এনসিপির আরেক নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহ।
এনসিপির প্রতিবাদ এদিকে প্রথম আলোর এই সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছে এনসিপি। দলের যুগ্ম সদস্য সচিব ও মিডিয়া সেল সম্পাদক মুশফিক উস সালেহীন এক বিবৃতিতে বলেন, “দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকার ৫ নভেম্বর ২০২৫ প্রকাশিত ‘বিএনপির কাছে ২০ আসন চায় এনসিপি, চায় মন্ত্রিসভায়ও হিস্যা’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বিএনপির সঙ্গে আসন সমঝোতা ও মন্ত্রিসভায় হিস্যা চাওয়ার খবর সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।”
“জাতীয় নাগরিক পার্টি কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জোট, আসন সমঝোতা বা ক্ষমতা ভাগাভাগি বিষয়ে কোনো আলোচনা বা সিদ্ধান্ত নেয়নি। এমন কোনো প্রস্তাবও দলের নীতি-নির্ধারণী পর্ষদে কখনো গৃহীত হয়নি। এনসিপি বিশ্বাস করে, দেশের ভবিষ্যৎ রাজনীতি হবে জনগণের অধিকার, জবাবদিহি, সংস্কার ও গণতান্ত্রিক পুনর্গঠনের রাজনীতি।”
প্রথম আলোর সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছে এনসিপি।
“সে লক্ষ্যেই দলটি সারা দেশে সাংগঠনিক প্রস্তুতি ও প্রার্থী যাচাই প্রক্রিয়া চালিয়ে যাচ্ছে। প্রতিবেদনে উল্লিখিত তথাকথিত ‘সূত্র’ সম্পূর্ণ অনুমাননির্ভর এবং সাংবাদিকতার মৌলিক নীতির পরিপন্থী। এতে জনগণ বিভ্রান্ত হয়েছে এবং দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে। জাতীয় নাগরিক পার্টি প্রথম আলোকে অবিলম্বে প্রকাশ্যে দুঃখপ্রকাশ ও সংশোধনী প্রকাশের আহ্বান জানাচ্ছে।”
বিবৃতিতে বলা হয়, “আমরা পুনরায় স্পষ্ট করছি, এনসিপি কোনো দলের কাছে আসন বা মন্ত্রিসভায় অংশগ্রহণের দাবি তোলেনি। আমরা জনগণের আস্থায় একটি বাংলাদেশপন্থী, দায়িত্বশীল ও স্বতন্ত্র রাজনৈতিক শক্তি গড়ে তুলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”