সারা বাংলা

হামলার মূলে যারা তাদের অনেকেই জেলে আছেন, বাইরে থেকে ইন্ধন আছে

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কমিশনার হাসিব আজিজ বলেছেন “দুষ্কৃতকারীরা সরোয়ার বাবলার মৃত্যু নিশ্চিত করতে গুলি করে। ঘটনার সময় তিনি এরশাদ উল্লাহর সঙ্গেই ছিলেন। সরোয়ারের অপরাধের ইতিহাস আছে। ধারণা করা হচ্ছে, হামলার মূল টার্গেট ছিলেন সরোয়ার। ঘটনার মূলে যারা, তাদের অনেকেই জেলে আছেন এবং দেশের বাইরে থেকে এর ইন্ধন আছে।”

বুধবার (৫ নভেম্বর) রাতে চট্টগ্রামে এভার কেয়ার হাসপাতাল গেটে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।

আরো পড়ুন: চট্টগ্রামে বিএনপি প্রার্থীর জনসংযোগে গুলিতে নিহত কে এই সরোয়ার?

সিএমপি কমিশনার বলেন, “দুষ্কৃতকারীদের লক্ষ্য বিএনপি প্রার্থী এরশাদ উল্লাহ নয়, নিহত সরোয়ার বাবলা ছিলেন।” 

সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “অপরাধ যেখানে হচ্ছে, আমরা অধিকাংশদেরই গ্রেপ্তার করছি। আসামিরা ঘটনার পরপর রিমোট এলাকায় চলে যায়। সেখান থেকে তাদের ধরা খুবই দুষ্কর।”

নির্বাচনের আগে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে কমিশনার হাসিব আজিজ বলেন, “নির্বাচনের আগ মুহূর্তে এমন ঘটনা ভালো নয়। এমন যেন আর না ঘটে, সেই বিষয়ে আমরা সচেতন থাকব।”

তিনি বলেন, ‘এই ঘটনার আগে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে এরশাদ উল্লাহ আমার অফিসে এসেছিলেন। এরপরে তিনি বের হয়ে যান। তিনি যে গণসংযোগে যাবেন, পুলিশকে জানাননি। লোকাল থানাও ইনফর্মড ছিল না।” নির্বাচনে অংশগ্রহণকারীদের গণসংযোগের আগে স্থানীয় থানা ও সিএমপিকে অন্তত ২৪ ঘণ্টা আগে জানানোর পরামর্শ দেন তিনি।

চট্টগ্রাম-৮ আসনের বিএনপির প্রার্থী এরশাদ উল্লাহর ধানের শীষে ভোটের জনসংযোগের সময় গুলির ঘটনায় সরোয়ার হোসেন ওরফে বাবলা (৪৩) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (৫ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।

পুলিশ জানায়, চট্টগ্রাম নগর পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী সরোয়ার হোসেন। ৫ আগস্টের পর জামিনে মুক্তি পান তিনি। তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, অস্ত্র, হত্যাসহ ১৫টি মামলা রয়েছে।

গত ৩০ মার্চ নগরীর বাকলিয়া অ্যাকসেস রোড এলাকায় একটি প্রাইভেটকারে গুলি চালিয়ে সরোয়ারকে হত্যার চেষ্টা করা হয়। ওই সময় প্রাইভেটকারে থাকা দুজন মারা যান। সেদিন ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান সরোয়ার।

পরে ওই ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার আসামিরা জবানবন্দিতে জানান, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সাজ্জাদ হোসেন ওরফে ছোট সাজ্জাদের নির্দেশে সরোয়ারকে গুলি করা হয়।