সারা বাংলা

ধামরাইয়ের বাজারে বাড়ছে সবজির সরবরাহ, দাম অপরিবর্তিত 

ঢাকার ধামরাই উপজেলার বাজারগুলোতে সবজির সরবরাহ বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে, বেশিরভাগ সবজির দামই গেল সপ্তাহের তুলনায় অপরিবর্তিত রয়েছে। বিক্রেতারা বলছেন, শীতকালীন সবজির সরবরাহ আরো বৃদ্ধি পেলে দাম কমার সম্ভাবনা রয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) সকালে ধামরাইয়ের বড় বাজার, কালামপুর, ধানতারা, হাতকোড়া, বারবাড়িয়া, কাওয়ালীপাড়া, বাথুলি বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, বর্তমানে প্রতিকেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা করে। পেঁয়াজ ১০০ থেকে ১১০ টাকা, রসুন ১২০ টাকা, আদা ১৪০ টাকা, শুকনা মরিচ ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকা ও কাঁচা মরিচ ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এসব পণ্যের দাম গেল সপ্তাহের তুলনায় অপরিবর্তিত রয়েছে।

সবজির বাজারে ফুলকপি গেল সপ্তাহের তুলনায় ২০ টাকা বেড়ে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাঁধা কপি ৬০ থেকে ৭০ টাকা, কদর ৫০ টাকা, পেঁপে ২৫ টাকা, শসা ৫০ টাকা, টমেটো ১১০ থেকে ১২০ টাকা ও পটল ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এসব পণ্যের দামও অপরিবর্তিত রয়েছে।

এছাড়া, বেগুন গেল সপ্তাহের তুলনায় কেজিতে ১০ টাকা কমে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহের তুলনায় সিমের দাম ২০ টাকা কেজিতে কমেছে। এই সবজি চলতি সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি দরে। মুলা ২০ থেকে ৩০ টাকা ও করলা ৩০-৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। 

চাল ও ডালের বাজারেও দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। চিনিগুড়া চাল বিক্রি হচ্ছে ১২৫ টাকা কেজিতে, রাজভোগ চাল ১১০-১২০ টাকা, উনত্রিশ চাল প্রতি কেজি ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ডালের বাজারে খেসারি প্রতিকেজি ৯০ টাকা, মুগ ডাল ১৭০-১৮০ টাকা ও এংকার ডাল ১৬৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

মাছ-মাংসের বাজারেও গত সপ্তাহের তুলনায় দাম স্থিতিশীল রয়েছে বলে জানান বিক্রেতারা।

হাবিবুর রহমান নামে এক সবজি ক্রেতা বলেন, ‍“বাজারে সবকিছুর দামই বাড়তির দিকে। কিছুই কেনা যাচ্ছে না। এত দাম হলে চলব কীভাবে।”

সবজি বিক্রেতা আব্দুর রশিদ বলেন, “গত কয়েকদিন ধরে বাজারে শীতকালীন সবজি উঠতে শুরু করেছে। এজন্য ফুল কপি, বাঁধা কপিসহ কিছু সবজির দাম কমেছে। তবে আলু, পেঁয়াজ, মরিচের দাম একই রয়েছে।” 

অপর ব্যবসায়ী মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, “দাম অপরিবর্তিত থাকায় বিক্রির পরিমাণ কম। তবে আগামী সপ্তাহে পুরোপুরি শীতকালীন সবজি বাজারে এলে দাম কমে যাবে।”