রাজনীতি

নো হাঙ্কি পাঙ্কি, গণ‌ভোট আগে চাই: তাহের

জাতীয় নির্বাচ‌নের আগে গণ‌ভোট আ‌য়োজ‌নে সময় ক্ষেপন করা হ‌চ্ছে অভি‌যোগ ক‌রে সরকা‌রের প্রতি হু‌শিয়া‌রি উচ্চারণ ক‌রে‌ছেন জামায়া‌তে ইসলামীর সি‌নিয়র না‌য়ে‌বে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তা‌হের।

তি‌নি ব‌লেন, “জাতীয় নির্বাচ‌নের আগে গণ‌ভোট কর‌তে আইনি কো‌নো বাধা নেই। সুতরাং সময় আছে, আরো প‌নের‌দিন ক্ষেপণ কর‌বেন, তারপরও সময় থাক‌বে। নতুন ক‌রে সময় বের করা হ‌বে। কী বোঝা‌তে চায় বু‌ঝে নি‌য়েন, নো হাঙ্কি পাঙ্কি। গণ‌ভোট আগে দি‌তেই হ‌বে।”

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের আদেশ জারি, জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোটসহ পাঁচ দফা দাবিতে বৃহস্প‌তিবার (৬ নভেম্বর) দুপু‌রে প্রধান উপ‌দেষ্টা বরাবর স্মারক‌লি‌পি দেওয়ার আগে পল্টন‌মো‌ড়ে সং‌ক্ষিপ্ত সমা‌বে‌শে জামায়া‌তের এই শীর্ষনেতা এসব কথা ব‌লেন।

পাঁচ দফা দা‌বি‌কে গণদা‌বি উল্লেখ ক‌রে তা‌হের ব‌লেন, “দা‌বি আদা‌য়ে প্রয়োজ‌নে আবারো রক্ত যা‌বে, জীবন যা‌বে তবুও দা‌বি আদায় ক‌রে ছাড়‌ব। জুলাই আন্দোলন, শহীদ‌দের রক্ত বৃথা যা‌বে না। ষড়যন্ত্রকারীরা পরা‌জিত হ‌বে। জুলাই সনদ যেভা‌বে আছে ওইভা‌বে বাস্তবায়ন হ‌বে এবং ওইভা‌বে সংবিধা‌নে লি‌পিবদ্ধ হ‌বে।”

সরকা‌রের উদ্দেশ্যে তি‌নি ব‌লেন, “চালা‌কি শুরু ক‌রে‌ছেন? চালা‌কি কর‌বেন না। এই ব‌লব-সেই বল‌ব ব‌লে ‌নির্বাচ‌নের সময় কাছাকা‌ছি চ‌লে এসেছে। আপনা‌দের চালা‌কি আমরা বু‌ঝি, আপনারা যতই চালা‌কি ক‌রেন দা‌বি আমরা আদায় কর‌বই। দা‌বি আদা‌য়ে আমরা নিয়মতা‌ন্ত্রিক আন্দোল‌নে আছি। সোজা আঙ্গু‌লে য‌দি ঘি না উঠে আঙ্গুল বাঁকা কর‌ব।”

এসময় জামায়া‌তের সে‌ক্রেটা‌রি জেনা‌রেল অধ‌্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান, প্রেসিডিয়াম সদস্য আশরাফ আলী আকনসহ আটদ‌লের শীর্ষ‌নেতারা বক্তব‌্য রা‌খেন।

প‌রে আট দ‌লের নেতারা বিশাল মি‌ছিল নি‌য়ে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধান উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি দিতে পদযাত্রা নিয়ে যমুনা অভিমুখে যাত্রা শুরু ক‌রেন।

বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) দুপুর ১২টায় রাজধানীর পুরানা পল্টন মোড় থেকে এ পদযাত্রা শুরু হয়। পদযাত্রায় আট দ‌লের শীর্ষস্থানীয় নেতারা নেতৃত্বে দেন।

রাজধানীর শাপলা চত্বর থেকে মিছিল নিয়ে পুরানা পল্টনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হন জামায়াত নেতাকর্মীরা। ইসলামী আন্দোলন, খেলাফত মজ‌লি‌সের দুই অংশসহ অন‌্যদলগু‌লো নেতাকর্মীরা আগ থে‌কেই পল্টন‌ মো‌ড়ে অবস্থান নেন।

দলগুলোর পাঁচ দফা দাবি হলো- জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি এবং ওই আদেশের ওপর নভেম্বরের মধ্যেই গণভোট আয়োজন করা; আগামী জাতীয় নির্বাচনে উভয় কক্ষে বা উচ্চকক্ষে পিআর (সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব) পদ্ধতি চালু করা; অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড (সবার জন্য সমান সুযোগ) নিশ্চিত করা; ‘ফ্যাসিস্ট’ সরকারের সব জুলুম–নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা এবং ‘স্বৈরাচারের দোসর’ জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।

ইসলামি আটটি দলের মধ্যে রয়েছে- জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) ও বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি।