জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, ‘‘কোনো চাঁদাবাজ-মাফিয়াদের সঙ্গে আমরা নির্বাচনে জোট করব না। যারা সংস্কারের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন, তাদের সঙ্গে কোনো জোট হবে না।’’
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) রাঙামাটিতে দলের সমন্বয় সভায় তিনি এ সব কথা বলেন। রাঙামাটিতে অধ্যাপক কুমার সুমিত রায় জিমনেশিয়ামে তিন পার্বত্য জেলার এনসিপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে সমন্বয় সভা হয়।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে এনসিপি কাদের সঙ্গে জোট বাঁধবে তা নিয়ে রাজনীতিতে আলোচনা আছে। আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন অনুষ্ঠানের সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। দেশের বৃহত্তম দল জায়ামাতে ইসলামী ও বিএনপি এরই মধ্যে তাদের সম্ভাব্য প্রার্থী ঘোষণা করেছে।
হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ‘‘যারা সংস্কারের পক্ষে, তারা যদি আমাদের সঙ্গে জোট করতে চায়; তাহলে আমাদের দরজা উন্মুক্ত রয়েছে।’’
সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন এনসিপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সংগঠক এএসএম সুজা উদ্দিন, পার্বত্য অঞ্চলের তত্ত্বাবধায়ক ইমন সৈয়দ, দক্ষিণাঞ্চলের যুগ্ম মুখ্য সংগঠক জবাইরুল ইসলাম এবং তিন পার্বত্য জেলায় বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা।
সভায় হাসনাত আব্দুল্লাহ আরো বলেন, ‘‘সামনে নির্বাচন। নির্বাচনের আগে গণভোটের অর্ডার হতে হবে। সেই অর্ডার ড. ইউনুস বাস্তবায়ন করবেন। চুপ্পুর (রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন) হাত থেকে গণভোটের অর্ডার ও জুলাই সার্টিফিকেট নেওয়া যাবে না। জুলাই সনদে ড. ইউনুসকেই স্বাক্ষর করতে হবে।’’
তিনি আরো বলেন, ‘‘জনগণকে সুষ্ঠু ভোট দেওয়ার সুযোগ করে দিন। সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য ভোট না হয়, তাহলে জাতি হিসেবে কেউ আমাদের ক্ষমা করবে না।’’
এনসিপির এই গুরুত্বপূর্ণ নেতা বলেন, ‘‘এনসিপি যেসব সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সব রাজনৈতিক দলকে সেখানে আসতে হয়েছে। ‘সংখ্যা’ দিয়ে ‘পিচ্চি ও চিল্ডেন পার্টি’ বলে লাভ নেই। নাহিদ ইসলামের নেতৃত্বে আগামী ১০ বছর পর এনসিপি সরকার গঠন করবে।’’
দলের দক্ষিণাঞ্চলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মুখ্য সংগঠক জবাইরুল ইসলাম বলেন, ‘‘দেশের মানুষ আর আওয়ামী লীগের রাজনীতি চায় না। আমরা সংবিধান ও চুপ্পুকে অপসারণ চাইলাম, তখন বড় দলগুলো আমাদের বিপরীতে দাঁড়িয়ে গেল। এই সরকার রাষ্ট্রসংস্কার, আওয়ামী লীগের বিচার শেষ না হওয়ার আগেই নির্বাচন দিতে ব্যস্ত হয়ে গেছে।’’
তিনি আরো বলেন, ‘‘পাহাড়ের প্রতিটি ঘরে ঘরে এনসিপির দাওয়াত পৌঁছে দিতে হবে। পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চল কখনো শান্ত ছিল না। এনসিপির নেতৃত্বে পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তির রোল মডেল তৈরি হবে।’’
দলের পার্বত্য অঞ্চলের তত্ত্বাবধায়ক ইমন সৈয়দ বলেন, ‘‘পাহাড়ের যে সমস্যা তা ঢাকায় বসে সমাধান করা সম্ভব না। সমাধানের জন্য সমস্যা চিহ্নিত করে সমাধানের পথ খুঁজতে হবে। যারা পাহাড়ে বসবাস করে, তাদের সঙ্গে কথা বলতে হবে। তাদের দুঃখ-কষ্ট জানতে হবে।’’