চট্টগ্রামের বায়েজিদ থানার হামজারবাগ এলাকায় বিএনপির প্রার্থী এরশাদ উল্লাহর গণসংযোগে গুলি ও একজন নিহতের ঘটনায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। পাশাপাশি রাউজান ও চালিতাতলী এলাকায় গোলাগুলির ঘটনায় জড়িত আরো চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শুক্রবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁও র্যাব-৭-এর সিপিসি-৩ ক্যাম্পে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বাহিনীটির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. হাফিজুর রহমান।
তিনি বলেন, “তিনটি ঘটনায় জড়িত ছয়জনকে আমরা গ্রেপ্তার করেছি। প্রতিটি ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।”
লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. হাফিজুর রহমান জানান, গত ৫ নভেম্বর বিকেলে চট্টগ্রাম মহানগরীর হামজারবাগ এলাকায় বিএনপির চট্টগ্রাম-৮ আসনের প্রার্থী এরশাদ উল্লাহ গণসংযোগকালে গুলিবিদ্ধ হন। তার পাশে থাকা সারোয়ার বাবলা নিহত হন। এ ঘটনায় আরো চারজন গুলিবিদ্ধ হন। ঘটনার ৩৫ ঘণ্টার মধ্যে মামলার আসামি আলাউদ্দিন ও হেলালকে চান্দগাঁওয়ের হাজিরপুল এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
একই দিন রাতে রাউজানের বাগোয়ান ইউনিয়নের চৌধুরীপাড়ায় সুমন, ইসমাইল, খোরশেদ ও সোহেল নামে চারজন গুলিবিদ্ধ হন। এই ঘটনায় প্রধান আসামি ইসতিয়াক চৌধুরীসহ জ্যাকি ও জনিকে চকবাজার এলাকা থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও চার রাউন্ড গুলিসহ গ্রেপ্তার করা হয়।
সর্বশেষ ৬ নভেম্বর বিকেলে চট্টগ্রাম নগরের চালিতাতলি এলাকায় ইদ্রিস নামে এক অটোরিকশা চালককে সন্ত্রাসীরা গুলি করে আহত করে। ঘটনার মাত্র ছয় ঘণ্টার মধ্যে রাজ নামে এক ব্যক্তিকে রউফাবাদ এলাকা থেকে আটক করা হয়।
র্যাব জানায়, আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পৃথক মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
গত বুধবার (৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় নগরের বায়েজিদ বোস্তামি থানার হামজার বাগ খোন্দকারাবাদ ফতেপুকুর এলাকায় ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৮ আসনে বিএনপির প্রার্থী এরশাদ উল্লাহর গণসংযোগে কাঁধে পিস্তল ঠেকিয়ে সারোয়ার হোসেন বাবলাকে গুলি করা হয়। এতে তিনি নিহত হন। এছাড়াও প্রার্থী এরশাদ উল্লাহসহ পাঁচজন গুলিবিদ্ধ হন। এরশাদ উল্লাহ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। তবে তিনি শঙ্কামুক্ত।