একটি রাজনৈতিক দলের দায়িত্বশীল ব্যক্তি কীভাবে ‘নো হাঙ্কি পাঙ্কি’ বলেন, এমন প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি।
তিনি বলেন, ‘‘দেশে নির্বাচন হবে এটা স্বাভাবিক। সেখানে পক্ষে-বিপক্ষে মত থাকবেই। সেটাই তো রাজনৈতিক আদর্শের মূল ভিত্তি। কিন্তু আমি মনে করি, কোনো রাজনৈতিক আদর্শে ‘নো হাঙ্কি পাঙ্কি’ থাকতে পারে না। আমরা যে ভাষায় চলি, যে ভাষায় কথা বলি, সেই ভাষাতেই আমাদের নিজেদের আদর্শ প্রকাশ করা উচিত।’’
শুক্রবার (৭ নভেম্বর) লক্ষ্মীপুর জেলা শ্রমিকদলের নবগঠিত কমিটির পরিচিতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। শহরের গোডাউন রোড এলাকার বশীর ভিলা হলরুমে এ সভার আয়োজন করা হয়।
শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি বলেন, ‘‘একটি ইসলামী দলের নেতা গতকাল যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা জনগণ ভালোভাবে গ্রহণ করেননি। একটি দলের দায়িত্বশীল ব্যক্তি কীভাবে বলতে পারেন ‘নো হাঙ্কি পাঙ্কি’? এটা কি রাজনৈতিক ভাষা হতে পারে? জনগণ কি এটা গ্রহণ করবে? রাজনৈতিক নেতৃত্ব যদি এমন ভাষা ব্যবহার করেন, তাহলে সাধারণ মানুষের কাছে তা উপহাস ও অবজ্ঞা ছাড়া কিছু নয়। রাজনীতি অভিজ্ঞতার বিষয়। আমি ভেবেছিলাম—তিনি যেহেতু দায়িত্বে আছেন, ছাত্ররাজনীতি করেছেন; আবার ডাক্তারও। তাই ভেবেছিলাম তিনি পরিমিত ও দায়িত্বশীলভাবে কথা বলবেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত তা দেখতে পাইনি।’’
তিনি আরো বলেন, ‘‘আমরা সাধারণ মানুষের মন বুঝি। আমরা গ্রামে যাই, ঘরে ঘরে যাই। বিএনপি হলো সাধারণ মানুষের দল, গণমানুষের দল; প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের গড়া দল। সহজ-সরল রাজনীতি, কোনো জটিলতা নেই। আপসহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে আমরা ছাত্ররাজনীতি করেছি, আন্দোলন-সংগ্রাম করেছি। রাজনীতি শিখেছি, শিখিয়েছি। গ্রামীণ মানুষের সঙ্গে রাজনীতি কীভাবে করতে হয়, তা আমাদের জানা আছে। কিন্তু, গতকাল জামায়াতে ইসলামীর ওই বক্তব্য আমাদের ভালো লাগেনি, একদমই পছন্দ হয়নি।’’
জেলা শ্রমিকদলের নবগঠিত কমিটির সভাপতি সাইফুল ইসলাম শাহীনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসান সোহেলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সাহাব উদ্দিন সাবু, যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট হাসিবুর রহমান প্রমুখ।