ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদল নেতা এস এম শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যা মামলায় সাতজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে মামলার তদন্ত সংস্থা ঢাকা মহানগর পুলিশ-ডিএমপির গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ‘গাঁজা বিক্রি করতে নিষেধ করায়’ সাম্যকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা।
হত্যাকাণ্ডের প্রায় পাঁচ মাসের মাথায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির ইন্সপেক্টর মো. আখতার মোর্শেদ গত ৬ নভেম্বর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
ডিবি এই মামলায় ৭ ‘মাদক কারবারীকে’ অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে। এর মধ্যে মূল অভিযুক্ত হিসেবে রাব্বি ওরফে কবুতর রাব্বিকে চিহ্নিত করা হয়েছে, যিনি ছুরিকাঘাত করেন বলে অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে। অভিযুক্তদের মধ্যে মেহেদী হাসানও অন্যতম। বাকিরা হলেন, মো রিপন ওরফে আকাশ, নাহিদ হাসান পাপেল, মো. হৃদয় ইসলাম মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ সোহাগ ওরফ লম্বু সোহাগ এবং মো. রবিন।
গত ১৩ মে রাতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ভেতর দিয়ে মোটরসাইকেল চালিয়ে আসার সময় ছুরিকাঘাতে আহত হন সাম্য। রাত ১২টার দিকে রক্তাক্ত অবস্থায় বন্ধুরা সাম্যকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে এলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে পড়তেন। ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের এই শিক্ষার্থী এ এফ রহমান হলের আবাসিক ছাত্র ছিলেন। একই হলে ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক ছিলেন তিনি। তার বাড়ি সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে।
হত্যাকাণ্ডের পরদিন ১৪ মে সকালে নিহতের বড় ভাই শরীফুল ইসলাম শাহবাগ থানায় ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে এবং শাহবাগ থানায় বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেন।