ফয়সালাবাদে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং শুরু দেখে কেউ কি ঘুনাক্ষরেও ধারণা করতে পেরেছিল ম্যাচের পরিণতি এমন হবে! সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে আগে ব্যাটিং করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ৭২ রান তুলে নেয় প্রোটিয়ারা। পাকিস্তানের চোখে-মুখে তখন ছিল উৎকণ্ঠা, বড় রানের শঙ্কা।
অথচ উদ্বোধনী জুটি ভাঙার পর তাসের ঘরের মতো ভেঙে গেল দক্ষিণ আফ্রিকার সাজানো সংসার! নাটকীয় ব্যাটিং ধসে ১৪৩ রানে অলআউট তারা। সেটাও মাত্র ৩৭.৫ ওভারে। ৫৬ রানে শেষ ৯ এবং ৩৭ রানে শেষ ৮ উইকেট হারিয়ে ম্যাচের রোমাঞ্চ, উত্তেজনা সব নষ্ট করে দেন ব্যাটসম্যানরা।
সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ২৫.১ ওভারে ম্যাচ জিতে নেয় পাকিস্তান। ৭ উইকেটের জয়ে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতল পাকিস্তান। এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জিতলেও ঘরের মাঠে এটি তাদের প্রথম সিরিজ জয়।
আহমরি বোলিংয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিংয়ে নাটকীয় ধস নেমেছিল। ইনিংসের মধ্যভাগে ব্যাটসম্যানরা কেউ প্রতিরোধই করতে পারছিলেন না। ওপেনিংয়ে লুহান ড্রি প্রিটোরিয়াস ৩৯ ও ডি কক সর্বোচ্চ ৫৩ রান করেন। এরপর তাদের দুই ব্যাটসম্যান কেবল দুই অঙ্কের ঘর পেরোতে পারে। অধিনায়ক ব্রিটজি ও পেটার ১৬ রানের দুটি ইনিংস খেলেন। বাকিরা ক্রিজে এসেছেন আর ফিরেছেন।
১০ ওভারে ১ মেডেনে ২৭ রানে ৪ উইকেট নিয়ে লেগ স্পিনার আবরার আহমেদ ছিলেন তাদের সেরা বোলার। ২টি করে উইকেট নেন পেসার শাহীন শাহ আফ্রিদি, স্পিনার সালমান আগা ও মোহাম্মদ নওয়াজ।
সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে কোনো রান জমা না করতেই ফখর জামান সাজঘরে ফেরেন। এরপর ক্রিজে এসে বাবর ৫ বাউন্ডারিতে নিজের ছায়া থেকে বেরিয়ে আসেন। মনে হচ্ছিল, আজ তার ব্যাট থেকে ভালো একটি ইনিংস আসবে। কিন্তু রান আউটে কাটা পড়ে তার ইনিংস থেমে যায় ২৭ রানে।
সেখান থেকে সায়েম আইয়ুবের ৭০ বলে ১১ চার ও ১ ছক্কায় সাজানো ৭৭ রানের ইনিংস ও মোহাম্মদ রিজওয়ানের ৩২ রানে সহজেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় স্বাগতিকরা।
আববার দারুণ বোলিংয়ে ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হন। কুইন্টন ডি কক ২৩৯ রান করে হন সিরিজ সেরা। এই সিরিজ দিয়ে পাকিস্তানের ওয়ানডে অধিনায়ক হিসেবে যাত্রা শুরু হলো আফ্রিদির। জয়ে সিরিজ শুরু করে নিশ্চিতভাবেই আত্মবিশ্বাস পেলেন।