নেত্রকোনার পূর্বধলার সদর ইউনিয়নে জঙ্গল থেকে নবজাতকের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় এক যুবকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
শনিবার (৮ নভেম্বর) দুপুরে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পরে রবিবার (৯ নভেম্বর) সকালে ওই নবজাতকের মা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে এ মামলা করেন।
মামলায় আসামি শাহ আলম (২৫) নবজাতকের মায়ের প্রতিবেশী বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ১ বছর আগে অভিযুক্ত শাহ আলমের সঙ্গে মামলার বাদীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তার স্বামী দীর্ঘদিন ধরে সৌদি আরবে অবস্থান করছেন। সম্পর্কের সুবাদে শাহ আলম বিয়ের আশ্বাস দিয়ে ওই নারীর সঙ্গে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করেন। এতে তিনি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। গর্ভের কথা জানালে শাহ আলম বিয়ের আশ্বাস থেকে সরে এসে গর্ভপাতের জন্য চাপ দিতে থাকেন।
গত শুক্রবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে শাহ আলম জোরপূর্বক গর্ভপাতের ওষুধ খাওয়ানোর পর ওই নারীর প্রচণ্ড ব্যথা শুরু হয়। পরে স্থানীয় এক ধাত্রীর সহযোগিতায় তিনি মৃত সন্তান প্রসব করেন। এরপর নবজাতকের মরদেহ পাশের জঙ্গলে ফেলে দেওয়া হয়। পরদিন দুপুরে স্থানীয়রা মরদেহটি দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শাহ আলমের মোবাইলে একাধিকবার কল দেওয়া হলে নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া গেছে।
পূর্বধলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নূরুল আলম বলেন, “নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত শাহ আলমকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।”