লস অ্যাঞ্জেলেস-২০২৮ অলিম্পিকে ক্রিকেট ফিরলেও, সেখানে পাকিস্তান-ভারত মহারণ দেখা নাও যেতে পারে। এমনটাই জানিয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) অলিম্পিক ক্রিকেটের জন্য আঞ্চলিক বাছাই প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করার পথে, যার মাধ্যমে নির্ধারিত হবে অংশগ্রহণকারী ছয়টি দল।
দুবাইয়ে শুক্রবার অনুষ্ঠিত আইসিসি বোর্ড সভায় আলোচিত প্রস্তাব অনুযায়ী, প্রতিটি মহাদেশের শীর্ষস্থানীয় দল সরাসরি জায়গা পাবে অলিম্পিকে।
এই হিসাব অনুযায়ী এশিয়া থেকে ভারতের যোগ্যতা অর্জন প্রায় নিশ্চিত। একইভাবে ওশেনিয়া থেকে অস্ট্রেলিয়া, আফ্রিকা থেকে দক্ষিণ আফ্রিকা, এবং ইউরোপ থেকে গ্রেট ব্রিটেন সরাসরি জায়গা করে নেবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তবে পঞ্চম স্থানটি নিয়ে এখনো অনিশ্চয়তা রয়েছে। আয়োজক দেশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র স্বয়ংক্রিয়ভাবে সেই স্থান পাবে কি না, তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। কারণ, আমেরিকা অঞ্চলের হয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজও প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আছে।
এই ফর্মুলায় পাকিস্তান, নিউ জিল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশ সরাসরি সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবে। তাই প্রস্তাব উঠেছে- ষষ্ঠ দলটি নির্ধারিত হবে একটি গ্লোবাল কোয়ালিফায়ারের মাধ্যমে। সেই কোয়ালিফায়ারের বিস্তারিত শিগগিরই ঘোষণা করবে আইসিসি।
দুবাই সভায় উপস্থিত এক অভিজ্ঞ প্রশাসক বলেন, “অংশগ্রহণকারী দলগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে এবং সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি মহাদেশের শীর্ষ দল সরাসরি যাবে। আর ষষ্ঠ দল আসবে গ্লোবাল কোয়ালিফায়ারের মাধ্যমে। বিস্তারিত পরিকল্পনা পরে জানাবে আইসিসি, তবে রোডম্যাপ প্রায় চূড়ান্ত।”
লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিকে পুরুষ ও নারী- দুই বিভাগেই ক্রিকেট অনুষ্ঠিত হবে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে।
আইসিসি ইতোমধ্যে নিশ্চিত করেছে, ক্রিকেট ইভেন্ট চলবে ২০২৮ সালের ১২ জুলাই থেকে ২৯ জুলাই পর্যন্ত। এর মধ্যে নারীদের ফাইনাল হবে ২০ জুলাই। আর পুরুষদের স্বর্ণপদক ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে ২৯ জুলাই।
১২৮ বছর পর অলিম্পিক মঞ্চে ফিরছে ক্রিকেট। এর আগে একমাত্রবার এই খেলা দেখা গিয়েছিল ১৯০০ সালের প্যারিস অলিম্পিকে। যেখানে গ্রেট ব্রিটেন ফ্রান্সকে হারিয়ে জিতেছিল স্বর্ণপদক।
এই প্রত্যাবর্তন নিঃসন্দেহে ক্রিকেট ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায়। তবে পাকিস্তান-ভারতের চিরপ্রতীক্ষিত লড়াই দেখা যাবে কি না, সেটিই এখন বড় প্রশ্ন।