সারা বাংলা

কুষ্টিয়ার চরাঞ্চলে পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার ৯

পদ্মার চরাঞ্চলে দাপিয়ে বেড়ানো ‘কাকন বাহিনী’র নয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

রবিবার (৯ নভেম্বর) ভোরে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার চরাঞ্চলে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

অভিযানে চর এলাকা থেকে অপরাধীদের ব্যবহৃত দুটি অস্থায়ী তাঁবু, একটি স্পিডবোট, দুটি নৌকা, তিনটি মোটরসাইকেল, তিনটি মোবাইল ফোন ও অস্ত্র রাখার বিশেষভাবে তৈরি দুটি চেম্বার জব্দ করা হয়েছে।

খুলনা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি (ক্রাইম অ্যান্ড অবস্) শেখ জয়নুদ্দীনের নেতৃত্বে জেলার তিন শতাধিক পুলিশ সদস্য অভিযানে অংশ নিয়েছেন। অভিযানে কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান ছিলেন।

দুপুরে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অবস্) ফয়সাল মাহমুদ বলেন, “চর এলাকায় কাকন বাহিনীসহ যেসব সন্ত্রাসী বাহিনী আছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে। তাদের ধরতে এই অভিযান চলছে। ড্রোন দিয়ে বিভিন্ন চরের কাশবন, কলাবাগানসহ জঙ্গলের ভেতর দেখা হচ্ছে। একাধিক ড্র্রোন ওড়ানো হয়েছে।”

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ৩০ অক্টোবর পদ্মার চরাঞ্চলে জেলা পুলিশের নেতৃত্বে আরো একটি বিশেষ অভিযান পরিচালিত হয়েছিল। বর্তমানে এলাকাটিতে পুলিশি টহল ও গোয়েন্দা নজরদারি জোরদার করা হয়েছে।

এ বিষয়ে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোলাইমান শেখ বলেন, “ভোর থেকে চলা অভিযানে দৌলতপুর থানা এলাকা থেকে আমরা নয়জন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছি। এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।”

এর আগে, গত ২৭ অক্টোবর কুষ্টিয়ার দৌলতপুর, রাজশাহীর বাঘা ও নাটোরের লালপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী দৌলতপুরের মরিচা ইউনিয়নের চৌদ্দহাজার মৌজার নিচ খানপাড়া এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে তিনজন নিহত হন।

এ ঘটনায় বাহিনী প্রধান হাসিনুজ্জামান কাকনসহ বাহিনীর সদস্যদের নামে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থানায় একটি মামলা হয়। এছাড়া তাদের বিরুদ্ধে রাজশাহী, নাটোর, পাবনা ও কুষ্টিয়ায় মোট ছয়টি মামলা হয়েছে।