জুলাই সনদে প্রতারণার অভিযোগ তুলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘‘বৃষ্টিতে ভিজে সংসদ ভবনের জুলাই সনদে সই করেছি। কিন্তু যে সনদে আমি সই করেছি, আর যেটি প্রধান উপদেষ্টাকে দেওয়া হয়েছে—দুটি এক নয়। আমরা যে পাতায় সই করেছি, তা বাদ দিয়ে সেখানে অন্য পাতা ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। এটি স্পষ্ট প্রতারণা ও অন্যায়।’’
রবিবার (৯ অক্টোবর) ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ৯ নম্বর রায়পুর ইউনিয়নের আয়োজনে ভাউলার হাট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় তিনি এই অভিযোগ করেন।
অবিলম্বে তফসিল ঘোষণা করে জাতীয় নির্বাচন দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘‘কয়েকটি দল মিলে নির্বাচনকে দেরি করার চেষ্টা করছে। কারণ তারা নির্বাচনকে ভয় পায়। তাই তারা নির্বাচন পেছাতে চায়। কিন্তু, আমাদের কথা খুব পরিষ্কার। নির্বাচন ফেব্রুয়ারি মাসের একদিন বেশি হলে জনগণ তা মেনে নেবে না। সবাই এখন ভোট দিতে চায়, পরিবর্তন চায়; গণতন্ত্র ফিরে পেতে চায়।’’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘দেশে এখন একটি নাটকীয় অবস্থা তৈরি হয়েছে। জনগণকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। কিন্তু আমরা জানাতে চাই-জনগণ আর প্রতারিত হবে না।’’
তিনি বলেন, ‘‘আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন—বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ১৫ মাসের মধ্যে এক কোটি বেকারের কর্মসংস্থান করা হবে। আর আমাদের ঘোষিত ৩১ দফা দাবি পূর্ণাঙ্গভাবে বাস্তবায়ন করা হবে।’’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘‘আমরা এমন একটি সরকার গঠন করতে চাই—যেখানে থাকবে জনগণের ক্ষমতা, মানুষের অধিকার ও কথা বলার স্বাধীনতা। দেশে প্রকৃত গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করাই এখন বিএনপির প্রধান লক্ষ্য।’’