সারা বাংলা

আশুলিয়ার সড়কে ৪ কারখানার শ্রমিকদের বিক্ষোভ, টিয়ারশেল নিক্ষেপ

সাভারের আশুলিয়ায় বকেয়া বেতন পরিশোধ ও বন্ধ কারখানা চালুর দাবিতে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন ঢাকা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের (ডিইপিজেড) একই মালিকানাধীন চারটি কারখানার শ্রমিকরা। 

সোমবার (৯ নভেম্বর) সকালে শ্রমিকরা সড়কে নেমে বিক্ষোভ শুরু করেন। এক পর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী টিয়ারশেল নিক্ষেপ ও জলকামান ব্যবহার করে তাদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেয়।

বিক্ষোভকারীরা জানান, গত ২২ অক্টোবর হঠাৎ করেই গোল্ডটেক্স লিমিটেড, গোল্ডটেক্স গার্মেন্টস, সাউথ চায়না ব্লিচিং অ্যান্ড ডায়িং ফ্যাক্টরি লিমিটেড এবং এক্টর স্পোর্টিং লিমিটেড সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়। বন্ধ ঘোষণার আগে তিন মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধ করা হয়নি। একাধিকবার আশ্বাস দিলেও বেতন পরিশোধ করা হয়নি।

আজ সোমবার সকাল ৮টার দিকে বকেয়া বেতন ও বন্ধ কারখানা পুনরায় চালু করার দাবিতে শ্রমিকরা ডিইপিজেডের মূল ফটকের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। একপর্যায়ে তারা মহাসড়ক অবরোধ করলে পুলিশ টিয়ার শেল নিক্ষেপ ও জলকামান দিয়ে গরম পানি ছিটিয়ে শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। 

আশুলিয়া শিল্পাঞ্চল পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ মোমিনুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, “আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা শ্রমিকদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরাতে গেলে তারা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এসময় জলকামান দিয়ে পানিয়ে ছিটিয়ে তাদের সরিয়ে দেওয়া হয়। এরপরও তারা মহাসড়ক অবরোধ করলে কয়েক রাউন্ড টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে তাদের সরাতে হয়।”

ঢাকা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের (ডিইপিজেড) নির্বাহী পরিচালক মো. শরীফুল ইসলাম বলেন, “সাউথ চায়না ব্লিচিং অ্যান্ড ডায়িং ফ্যাক্টরি লিমিটেড, গোল্ডটেক্স লিমিটেড, গোল্ডটেক্স গার্মেন্টস ও এক্টর স্পোর্টিং লিমিটেড সাময়িকভাবে বন্ধ। এ চারটি কারখানার মধ্যে তিনটি কারখানার শ্রমিকদের আড়াই মাসের এবং অপর একটির দুই মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে। বন্ধ কারখানাগুলো চালুর চেষ্টা করছেন কারখানার কর্তৃপক্ষ। যদি তারা ব্যর্থ হন তবে নির্দিষ্ট সময় পর সরকারি নিয়ম অনুসারে কারখানা বিক্রি করে শ্রমিকদের বকেয়া পরিশোধ করা হবে।”