গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের দুটি বাড়ি লুট করেছে চোররা। রবিবার (৯ নভেম্বর) রাতে মাওনা ইউনিয়নের শিরিশগুড়ি গ্রামের বাসিন্দা বিএনপি নেতা আলী আকবর এবং রাইসুলের বাড়ি থেকে স্বর্ণালঙ্কার ও বিভিন্ন মালামাল লুট করে তারা। একই রাতে ইউনিয়নটির বারতোপা গ্রামের কৃষক আব্দুল কাশেমের গোয়ালঘরের তালা কেটে পাঁচটি গরু নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা।
স্থানীয় সূত্রে জানায়, শিরিশগুড়ি গ্রামের বাসিন্দা এবং মাওনা ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য আলী আকবরের বাড়িতে রবিবার মধ্যরাতে তালা কেটে প্রবেশ করে চোররা। তারা নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার ও মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে যায়। পরে তারা একই গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের ছেলে রাইসুলের বাড়িতে গিয়ে একই কায়দায় চুরি হয়। দরজার তালা কেটে ঘরে ঢুকে নগদ টাকা ও কাপড়সহ মূল্যবান সামগ্রী লুট করে চোরেরা।
সোমবার (১০ নভেম্বর) বিএনপি নেতা আলী আকবর বলেন, “মধ্যরাতে চোরেরা তালা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে। তারা নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার ও মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে গেছে।”
অপর ভুক্তভোগী রাইসুল জানান, তার বাড়ির দরজার তালা কেটে ঘরে ঢুকে নগদ টাকা ও কাপড়সহ মূল্যবান সামগ্রী লুট করে চোরেরা।
এদিকে, মাওনা ইউনিয়নের পাশের বারতোপা গ্রামের কৃষক আব্দুল কাশেমের গোয়ালঘরের তালা কেটে পাঁচটি গরু পিকআপে করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। চুরি হওয়া গরুগুলোর আনুমানিক মূল্য প্রায় ছয় লাখ টাকা।
কৃষক আব্দুল কাশেম জানান, ভোর ৪টার দিকে তিনি ঘুম থেকে উঠে গরুগুলোর খোঁজ নেন এবং কিছুক্ষণ পর আবার ঘুমিয়ে পড়েন। ভোর সাড়ে ৪টার দিকে উঠে দেখেন গোয়ালঘরে একটি গরুও নেই। পরে ভাইকে নিয়ে মাওনা চৌরাস্তা গিয়ে খোঁজ নিলে স্থানীয়রা জানান, কিছুক্ষণ আগেই একটি পিকআপে গরুগুলো ঢাকার দিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। চুরি হওয়া গরুগুলোর মধ্যে তিনটি গাভি ও দুটি ষাঁড় ছিল। যেগুলোর মোট মূল্য প্রায় ছয় লাখ টাকা।
আব্দুল কাশেম বলেন, “পাঁচটি গরুই ছিল আমার সব। এখন আমি একেবারে নিঃস্ব। আমি চাই, চোরদের দ্রুত শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হোক।”
মাওনা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি রুহুল আমীন বলেন, “ভোররাতে কৃষক আব্দুল কাশেমের গোয়ালঘর থেকে পাঁচটি গরু চুরি হয়েছে। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক। মাঝেমধ্যেই এমনভাবে পিকআপে করে গরু চুরির ঘটনা ঘটছে। পুলিশ প্রশাসনের উচিত রাতে টহল ও নজরদারি বাড়ানো।”
শ্রীপুর থানার চকপাড়া পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান বলেন, “পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ভুক্তভোগী কৃষক লিখিত অভিযোগ দিলে বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। চোরদের শনাক্তে আমরা ইতোমধ্যে অনুসন্ধান শুরু করেছি।”