আন্তর্জাতিক

আইএসবিরোধী মার্কিন নেতৃত্বধীন জোটে যোগ দিচ্ছে সিরিয়া

ইসলামিক স্টেট (আইএস) জঙ্গি দমনে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জোটে যোগ দেবে সিরিয়া। সোমবার হোয়াইট হাউজে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আল শারার বৈঠকের পর এমন ঘোষণা দেওয়া হয়। 

ট্রাম্প প্রশাসনের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এটি মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন বিদেশনীতিতে একটি বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে। 

ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শারা বলেন, এই সফর একটি ‘নতুন যুগের’ অংশ যেখানে দেশটি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সহযোগিতা করবে।

ট্রাম্প শারার প্রতি তার সমর্থন প্রকাশ করেছেন, যাকে এর আগে মার্কিন সরকার ‘সন্ত্রাসী’ হিসেবে ঘোষণা করেছিল।বৈঠকের পর ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, “মানুষ বলে, তার (শারার) অতীত কঠিন ছিল। আমাদের সবার অতীতই তো কঠিন।”

ট্রাম্পের মতে, ‘শারা একজন শক্তিশালী নেতা এবং সংগ্রামী মানুষ’।

সিরিয়ার ৪৩ বছর বয়সী শারা গত বছর ইসলামপন্থি বিদ্রোহী বাহিনী নিয়ে স্বৈরশাসক বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করে। শারার নেতৃত্বাধীন গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) পূর্বে আল-কায়েদার সহযোগী সংগঠন হিসেবে পরিচিত ছিল। মার্কিন প্রশাসন শারার নাম তাদের সন্ত্রাসী তালিকা থেকে কয়েক দিন আগে বাদ দেয়। এরপরই শারা ওয়াশিংটন সফরে গেলেন। ১৯৪৬ সালে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি স্বাধীনতা লাভের পর এটি হোয়াইট হাউজে কোনো সিরীয় প্রেসিডেন্টের প্রথম সফর।

সিরিয়া এখন ৯০তম দেশ হিসেবে মার্কিন নেতৃত্বাধীন আইএসবিরোধী বৈশ্বিক জোটে যোগ দেবে, যার লক্ষ্য আইএসের অবশিষ্ট শাখাগুলোকে নির্মূল করা এবং মধ্যপ্রাচ্যে বিদেশি জঙ্গিদের প্রবাহ বন্ধ করা।

ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে সাংবাদিকদের উপস্থিতি ছিল না। বৈঠকের পর ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে তার বৃহত্তর শান্তি পরিকল্পনার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ সিরিয়া।

শারা ফক্স নিউজকে বলেছেন, গোলান মালভূমি সংক্রান্ত বিরোধের কারণে সিরিয়া ও ইসরায়েলের মধ্যে শান্তি আলোচনা জটিল। তবে তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন, ওয়াশিংটনের মধ্যস্থতায় আলোচনা দুই দেশের বৈঠক প্রক্রিয়া শুরু করতে সহায়ক হতে পারে।