সারা বাংলা

বগুড়ায় তোজাম্মেল হত্যা: ৩ জনের ফাঁসি, ৩ জনের যাবজ্জীবন

বগুড়ার গাবতলী উপ‌জেলার ব‌্যবসায়ী তোজাম্মেল হক হত‌্যা মামলায় তিনজনের মৃত্যুদণ্ড এবং তিনজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একজনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।  

মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) দুপুরে বগুড়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক শাহজাহান কবির এ রায় ঘোষণা করেন। এ সময় এক আসামি ছাড়া সবাই অনুপস্থিত ছিলেন। 

বগুড়া জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আব্দুল বাছেদ এসব তথ‌্য নি‌শ্চিত ক‌রে‌ছেন।

২০১৭ সালের ২৭ নভেম্বর গাবতলী উপজেলার দুর্গাহাটা ইউনিয়নে বৈঠাভাঙ্গা গ্রামে তোজাম্মেল হককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন—দুর্গাহাটা ইউনিয়নের দুর্গাহাটা গ্রামের বাবুল হোসেন, মানিক মিয়া ও মিশু। যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন—বৈঠাভাঙ্গা গ্রামের পিন্টু প্রামানিক, দেলোয়ার হোসেন ও আশিক। তাদের মধ্যে শুধু পিন্টু প্রামানিক আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বাকিরা পলাতক।

বগুড়া জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আব্দুল বাছেদ জানান, ২০১৭ সালের ২৭ নভেম্বর বিয়েবাড়িতে দাওয়াত পালন শেষে তোজাম্মেল মোটরসাইকেলে করে বাড়িতে ফিরছিলেন। সঙ্গে ছিলেন ছোট ভাই নয়ন মোল্লা ও ভাতিজা আসাদ।  আগে থেকে ওত পেতে ছিলেন বাবুল হোসেন, মানিক মিয়া, মিশু, পিন্টু, দেলোয়ার হোসেন ও আশিক। বৈঠাভাঙ্গা গ্রামের চারমাথা মোড়ে তোজাম্মেল হক আসামাত্র আসামিরা ধারালো অস্ত্র নিয়ে তার ওপর হামলা করেন। তোজাম্মেলকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ওই সময় নিহতের ছোট ভাই ও ভাতিজা পালিয়ে যেতে সক্ষম হন।

পিপি আব্দুল বাছেদ জানান, হত্যাকাণ্ডের পরের দিন নিহতের ভাই মমিন মোল্লা বাদি হয়ে ১০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। 

মামলার রায়ে নিহতের স্বজনরা সন্তুষ্ট হলেও সাজাপ্রাপ্তরা বাইরে থাকায় তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জানিয়েছেন মামলার বাদী মমিন মোল্লা।