জুলাইসহ সব গণহত্যার বিচার ও নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নাশকতার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে এ কর্মসূচি শুরু হয়।
বিক্ষোভ মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে থেকে শুরু হয়ে কোর্ট এলাকা, রায়সাহেব বাজার, তাঁতি বাজার মোড় প্রদক্ষিণ করে বাহাদুরশাহ পার্ক সংলগ্ন এলাকায় সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।
এ সময় জবি শিক্ষার্থীদের এ বিক্ষোভ মিছিলে পুরান ঢাকার স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীদের স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়।
মিছিলে তারা ‘ওয়ান টু থ্রি ফোর, ফ্যাসিজম নো মোর’, ‘ফাঁসি ফাঁসি ফাঁসি চাই, শেখ হাসিনা ফাঁসি চাই’, ‘দিল্লি না ঢাকা? ঢাকা ঢাকা’, ‘দড়ি লাগলে দড়ি নে, হাসিনার ফাঁসি দে’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে জবি ছাত্র শক্তির আহ্বায়ক ফয়সাল মুরাদ বলেন, “৫ আগস্টের পরে বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ বলতে কিছু নেই। যদি আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদী গুণ্ডারা কিছু করতে চায়, তাদের দাঁত ভাঙা জবাব দিতে হবে। তারা গর্তে আছে, গর্তে থাকুক। আওয়ামী ফ্যাসিবাদের কবর ৫ আগস্ট রচনা হয়ে গেছে। বাংলাদেশের মাটিতে আর তাদের অবস্থান নেই।”
তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগের যারা টাকা পাচার করেছে, তাদের শান্তিতে থাকতে দেব না। ৫ আগস্টের পর অনেক টাকা পাচারকারী ছাড়া পেয়েছে। আমরা বিচার বিভাগের কাছে জানতে চাই, এই মাফিয়ারা কিভাবে ছাড়া পাই? কত টাকার বিনিময়ে ছাড়া পাই?”
আপ বাংলাদেশের জবি শাখার সংগঠক মাসুদ রানা বলেন, “আজ শেখ হাসিনা বিদেশে ঘুমিয়ে, আরামে থেকে দেশে লকডাউন কর্মসূচি দিয়েছে। জনগণ এটা বর্জন করেছে। এটা লীগডাউন হয়ে গেছে। ৫ আগস্টের পর আওয়ামী লীগের কবর রচনা হয়েছে। আমরা অতি দ্রুত ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে হাসিনার বিচার চাই। অবিলম্বে শেখ হাসিনার ফাঁসির রায় দিতে হবে এবং জনসমক্ষে ফাঁসি দিতে হবে।”
জবি ছাত্র অধিকারের সভাপতি একেএম রাকিব বলেন, “৫ তারিখের পর এ জায়গায় দাঁড়াতে হবে তা ভাবতে পারিনি। যারা মায়েদের কোল খালি করেছে, তারা আবার লকডাউন দিচ্ছে। এই সরকার ব্যর্থ হয়েছে। এ সরকারের কাছে আমাদের যে দাবি ছিল, তা তারা বাস্তবায়ন করতে পারেনি। সরকারের প্রতি আহ্বান আপনারা ফ্যাসিবাদীদের বিচারের আওতায় আনুন।”
জবি শিবিরের সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম বলেন, “আমরা স্পষ্টভাবে ঘোষণা দিতে চাই, আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা পুরান ঢাকায় কিছু করতে চাইলে শুধু শিক্ষার্থীরা না, সবাই মিলে জবাব দেবে। আমাদের সবাইকে এক হতে হবে। কিন্তু দুঃখের বিষয়, একটি পক্ষ আওয়ামী লীগের মামলা উঠিয়ে দিয়ে জুলাই শহীদদের সঙ্গে প্রতারণা করতে চায়। আমরা বলতে চাই, আপনারা এই জায়গা থেকে বেরিয়ে আসুন। কোনো সন্ত্রাসীকে এই বাংলায় বরদাস্ত করা হবে না।”