তিন উইকেটের অপেক্ষায় ছিলেন। সিলেটে প্রথম ইনিংসে দুই উইকেট নিয়ে এগিয়ে গিয়েছিলেন। দ্বিতীয় ইনিংসে এখন পর্যন্ত তার শিকার একটি।
বৃহস্পতিবার আইরিশ ব্যাটসম্যান হ্যারি টেক্টরের প্যাডে আঘাত করতেই তাইজুল বুঝে যান আরেকটি উইকেট পেতে যাচ্ছেন। আম্পায়ারও সায় দিলেন। টেক্টর রিভিউ নিয়ে প্লাম্ব এলবিডব্লিউ থেকে বাঁচতে পারেননি। টেক্টরের উইকেট নিয়ে তাইজুল পূর্ণ করেন প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট ক্যারিয়ারের ৫০০তম উইকেট।
বাংলাদেশের তৃতীয় বোলার হিসেবেই এই মাইলফলক স্পর্শ করলেন তাইজুল। এর আগে আব্দুর রাজ্জাক ও এনামুল হক জুনিয়র প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৫০০ উইকেট পেয়েছেন। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক ও বর্তমানে দলের টিম ডিরেক্টর হওয়া আব্দুর রাজ্জাক ৬৩৪ উইকেট নিয়ে ক্যারিয়ার শেষ করেছেন। এনামুলের উইকেট ৫১৩টি।
২০১৪ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট শুরু করেন তাইজুল। অভিষেকেই পেয়েছিলেন ৫ উইকেট। জাতীয় দলের ক্যাপ মাথায় উঠার আগে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে লম্বা সময় খেলেন তিনি। জাতীয় ক্রিকেট লিগ, বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগে নিয়মিত পারফর্মার ছিলেন তিনি।
টেস্ট ক্রিকেটে তার উইকেট সংখ্যা ২৪০টি। বাকি উইকেট পেয়েছেন ঘরোয়া ক্রিকেটে। রাজশাহী বিভাগের হয়ে পেয়েছেন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৫২ উইকেট। এছাড়া বিসিএলে উত্তরাঞ্চলের হয়ে ৭৩টি, পূর্বাঞ্চলের হয়ে ১৮টি ও বাংলাদেশ ‘এ’ দলের হয়ে ১৭টি উইকেট পেয়েছেন।
এদিকে তাইজুল আরো বড় কিছুর অপেক্ষায় আছেন। সাদা পোশাকের ক্রিকেটে আর ৭ উইকেট পেলে বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেটে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী হবেন তিনি। ২৪৬ উইকেট নিয়ে সাকিব রয়েছেন শীর্ষে। ইতিহাসের অক্ষয় কালিতে নিজের নাম লিখতে তাইজুলের প্রয়োজন ৭ উইকেট। সিলেটের পর আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ঢাকাতেও খেলবেন তিনি। সুযোগটি কাজে লাগাতে পারবেন তো?