শুক্রবার সকালে গাজার বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা ঘুম থেকে উঠে দেখেন তাদের তাঁবুর মধ্যে কয়েক ইঞ্চি পানি জমে গেছে। রাতভর ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে তাদের আশ্রয়স্থল এবং জিনিসপত্রসহ তারা ভিজে গেছেন।
গাজা সিভিল ডিফেন্সের মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল সাংবাদিকদের বলেন, গাজার কর্মকর্তারা ‘সাহায্যের জন্য শত শত আবেদন পেয়েছেন। কিন্তু সম্পদের অস্তিত্ব নেই। পুরো আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে পানির স্তর ১০ সেন্টিমিটারেরও বেশি (৩ দশমিক ৯৪ ইঞ্চি) বেড়েছে। গদি ভিজে গেছে, কম্বল ভিজে গেছে এবং কোনো বিকল্প অবশিষ্ট নেই - কারণ ইসরায়েল প্রতিটি বিকল্প ধ্বংস করে দিয়েছে।”
গাজা সিটির বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা সিএনএনকে জানিয়েছেন, লোকজন যে তাঁবুতে থাকত সেগুলো জীর্ণ হয়ে গিয়েছিল, কিছু বৃষ্টির ভারে ভেঙে পড়েছে।
গাজার বাসিন্দা রায়েদ আল-আলায়ান বলেন, “আমরা এবং আমাদের ছোট বাচ্চারা বৃষ্টিতে ভিজে গিয়েছি। আমাদের তাঁবু প্লাবিত হয়েছে। বৃষ্টি থেকে আমাদের রক্ষা করার জন্য কোনো ছাদ নেই।”
আরেক বাসিন্দা আব্দুল বাসেত আবুলহাদি বলেন, “বৃষ্টির কারণে আমরা রাত ২টা ৩০ মিনিট থেকে জেগে আছি। গদি এবং কম্বলসহ সবকিছু ভিজে গেছে।”
এক নারী সিএনএনের সংবাদদাতাকে তার পরিবারের ভেজা তাঁবুতে নিয়ে গিয়ে জানান, এখানে নবজাতকসহ ২০টি শিশু আশ্রয় নিয়েছে। তিনি যে অবস্থার মধ্যে আছেন তা বর্ণনা করতে গিয়ে যন্ত্রণায় কাঁদতে শুরু করে দেন।
ওই নারী প্রশ্ন করেন, “আমাদের কোথায় যাওয়া উচিত? আমার নিহত ছেলে আমাদের জন্য এই তাঁবুগুলো তৈরি করেছিল। এখন আমার কী করা উচিত?”
গাজায় মেডিকেল এইড ফর প্যালেস্টাইনিস (এমএপি) এর যোগাযোগ কর্মকর্তা মাই এলাওয়াওদা শুক্রবারকে ‘যুদ্ধবিরতির পর থেকে গাজার সবচেয়ে কঠিন দিনগুলির মধ্যে একটি’ হিসাবে বর্ণনা করেছেন।