আন্তর্জাতিক

গ্রিস থেকে গ্যাস আমদানিতে সম্মত ইউক্রেন: জেলেনস্কি

রাশিয়ার ধারাবাহিক হামলায় ইউক্রেনের জ্বালানি সরবরাহ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। যার ফলে দেশটির জ্বালানি অবকাঠামো, বিদ্যুৎ ও তাপ উৎপাদন ক্ষমতা শূন্যের কাছাকাছি পৌঁছেছে এবং বিভিন্ন শহরে ব্ল্যাকআউট দেখা দিয়েছে। শীত আসার সাথে সাথে এই হামলাগুলো মানবিক সংকট আরো বাড়িয়ে তুলছে। 

পরিস্থিতি মোকাবিলায় রবিবার (১৬ নভেম্বর) ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি গ্রিস থেকে গ্যাস আমদানির ঘোষণা দিয়েছেন। খবর রয়টার্সের।

টেলিগ্রাম মেসেজিং অ্যাপে এক বিবৃতিতে জেলেনস্কি বলেন, “"আজ, আমরা ইউক্রেনের জন্য গ্যাসের বিষয়ে গ্রীসের সঙ্গে একটি চুক্তি প্রস্তুত করেছি, যা শীতের জন্য যতটা সম্ভব আমদানি নিশ্চিত করার জন্য আরেকটি গ্যাস সরবরাহ রুট হবে।” 

তিনি জানান, “গ্যাস আমদানির জন্য অর্থায়নের জন্য আমাদের ইতিমধ্যেই চুক্তি রয়েছে। রাশিয়ান হামলার ফলে ইউক্রেনীয় উৎপাদনে যে ক্ষতি হয়েছে তা পূরণ করার জন্য আমরা গ্যাস আমদানির জন্য প্রয়োজনীয় প্রায় ২ বিলিয়ন ইউরো (২.৩ বিলিয়ন ডলার) কভার করব।”

রবিবার গ্রিসে সফর শুরু করার আগে এক বিবৃতিতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট এই ঘোষণা দেন। জেলেনস্কি গ্রিস থেকে ফ্রান্স এবং স্পেন সফর করবেন।

ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধের চতুর্থ বছরে রাশিয়া বিদ্যুৎ উৎপাদন, বিদ্যুৎ সঞ্চালন ব্যবস্থা এবং গ্যাস উৎপাদন সুবিধার উপর হামলা জোরদার করেছে।

জেলেনস্কি বলেন, “কিয়েভ ইউরোপীয় কমিশনের গ্যারান্টির অধীনে ইউরোপীয় অংশীদার এবং ব্যাংকগুলোর পাশাপাশি ইউক্রেনীয় ব্যাংকগুলো থেকে গ্যাস আমদানির জন্য তহবিল বরাদ্দ করেছে, পাশাপাশি পূর্ণ অর্থায়ন নিশ্চিত করার জন্য মার্কিন অংশীদারদের সঙ্গেও কাজ করছে।”

গ্রিস ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোতে ইউক্রেনের যোগদানের দাবির অন্যতম প্রধান সমর্থক। গ্রিস ১৯৯১ সালের ৩১ ডিসেম্বর ইউক্রেনকে স্বীকৃতি দেয় এবং উভয় দেশ ১৯৯২ সালে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে।