বান্দরবানের থানচি উপজেলার নাফাখুম ঝর্ণায় ঘুরতে গিয়ে পা পিছলে পড়ে নিখোঁজের দুইদিন পর পর্যটক মো. ইকবাল হোসেনের (২৫) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এমএসই বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এবং ঢাকার ডেমরা থানার সারুলিয়ায় রসুলনগর গোপ দক্ষিণ গ্রামে তারা অস্থায়ীভাবে বসবাস করছেন।
রবিবার (১৬ নভেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন থানচি ফায়ার ডিফেন্সের কর্মকর্তা রাশিদুর রহমান মৃদা।
এর আগে, গত শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) ঢাকার ডেমরা থেকে ১৭ জনের একটি পর্যটক দল প্রশাসন ঘোষিত ভ্রমণ নিষিদ্ধ এলাকায় কোনো প্রকার নিবন্ধন ও স্থানীয় গাইড ছাড়া নাফাখুম ঝর্ণা এলাকায় ঘুরতে যান। সেখানে গিয়ে শুক্রবার বিকালে পা পিছলে পড়ে নিখোঁজ হন ইকবাল।
পরে পাঁচজন পর্যটক থানচি থানা ও প্রশাসনকে বিষয়টি অবহিত করেন। খবর পেয়ে প্রশাসনিক কর্মকর্তা, বিজিবি, পুলিশ ও ফায়ার ডিফেন্স কর্মকর্তাদের সমন্বয়ের উদ্ধার অভিযান শুরু করে। দুইদিন পর রবিবার (১৬ নভেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে ইকবালের মরদেহ উদ্ধার করে তারা।
থানচি ফায়ার ডিফেন্সের কর্মকর্তা রাশিদুর রহমান মৃদা গণমাধ্যমকে বলেন, “রবিবার (১৬ নভেম্বর) বিকেল ৪টা ৫৫ মিনিটে নাফাখুম ঝর্ণায় পানির নিচ থেকে ইকবালের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নদীপথে মরদেহ নিয়ে আশা হচ্ছে।”
থানচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছির উদ্দিন মজুমদার বলেন, “উপ-পরিদর্শক মো. রিয়াজুলসহ ছয়জনের পুলিশের দল মো. ইকবাল হোসেনের মৃতদেহ নিয়ে আসছেন। থানায় পৌছতে রাত হতে পারে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মৃতদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।” থানচি থেকে নাফাখুম যাতায়াতে পায়ে ট্রেকিং করে ১০ ঘণ্টা সময় প্রয়োজন হয় বলে জানান ওসি।
ইকিবালের বন্ধু নাফিস আল ইমরান বলেন, “ইকবালের মরদেহ ঢাকা রসুলনগর নবমল্লিকাতে নিয়ে আসা হবে। আগামীকাল সকাল ৯টায় ঢাকায় প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। চাঁদপুরের ইকবালের নিজ গ্রামে দ্বিতীয় জানাজা ও দাফন কার্য সম্পন্ন হবে।”