সারা বাংলা

ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযানে বাধা, এনসিপি নেতাকে আসামি করে মামলা

বান্দরবানের লামা উপজেলায় অবৈধ ইটভাটা বন্ধ ও পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে পরিবেশ অধিদপ্তর ও উপজেলা প্রশাসনের যৌথ অভিযানে বাধা দেওয়ায় জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) চট্টগ্রাম মহানগরের যুগ্ম সমন্বয়কারী এরফানুল হকসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। 

আজ মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে বান্দরবান জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক রেজাউল করিম চৌধুরী ও লামা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোফাজ্জল হোসেন মামলার তথ্য জানান। পরিবেশ অধিদপ্তরের করা মামলায় আরো অজ্ঞাতনামা ৩০০ থেকে ৪০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

সোমবার (১৭ নভেম্বর) দিবাগত রাত ১টার দিকে পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক মোহাম্মদ নুর উদ্দিন লামা থানায় বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলার আসামিরা হলেন, এবি ওয়াহিদ (৫০), মিজবাহ উদ্দিন মিন্টু (৪৮), মো. মহিউদ্দিন (৪০), শওকত ওসমান (৪০), খায়ের উদ্দিন মাস্টার (৫০), মুজিবুল হক চৌধুরী (৫০), মিজান, জলিল, আলম মেম্বার ও জহির।

লামা থানা ও পরিবেশ অধিদপ্তরের সূত্র জানায়, রবিবার (১৬ নভেম্বর) জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক রেজাউল করিম মজুমদার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রেজুয়ান উল ইসলামের নেতৃত্বে ফাইতং ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় অবৈধ ইটভাটা ও পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করতে গেলে ইটভাটা মালিকপক্ষের লোকজন রাস্তা অবরোধ করে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করে। অভিযানে আসা প্রশাসনের গাড়িবহরের সামনে শ্রমিকেরা কাফনের কাপড় পরে সড়কে শুয়ে প্রতিবাদ জানায়।

স্থানীয়রা জানান, লামা ফাইতং ইউনিয়নে দীর্ঘদিন ধরে অনুমোদন ছাড়াই ৩১টি ইটভাটা পরিচালিত হচ্ছে। এ মৌসুমে এরই মধ্যে ২৫টি ভাটায় কাজ শুরু হয়েছে, যার পাঁচ-ছয়টিতে আগুন দেওয়া হয়েছে। এসব ভাটার মালিকেরা পাহাড় কেটে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের মারাত্মক ক্ষতি করছেন।

মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে লামা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘‘সরকারি কাজে বাধা দেওয়ায় পরিবেশ অধিদপ্তরে এক কর্মকর্তা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। আসামিদের গ্রেপ্তার করতে দ্রুত অভিযান চালানো হবে।’’

বান্দরবান জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ‘‘সরকারি কাজে বাধা প্রদানকারীরা এলাকার বাসিন্দা নন। তারা অবৈধ ইটভাটা ও পাহাড় কাটার সঙ্গে জড়িতদের পালিত শ্রমিক। তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’’