মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে পা রাখলেই এখন শোনা যাবে একটাই নাম, মুশফিকুর রহিম। যার সাফল্য মুকুটে বুধবার যুক্ত হতে যাচ্ছে নতুন এক পালক। বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে শততম টেস্ট খেলার অপেক্ষায় তিনি।
২০০৫ সালে যে যাত্রা শুরু হয়েছিল, ২০২৫ সালে সেই পথ মিশেছে মিরপুরে। নিজেদের হোম ভেন্যু মিরপুরের জন্য বাড়তি রঙে সেজেছে। স্টেডিয়ামের ভেতরে-বাইরে তুলির আঁচড়ে ছড়িয়ে পড়েছে ক্রিকেট আলপনা।
তার সতীর্থরাও তাকে নিয়ে গর্বিত। শততম টেস্টের মাইলফলক ছোঁয়া ম্যাচটি মুশফিকুর নিজের মতো করে রাঙিয়ে তুলুক এমনটাই প্রত্যাশা তাদের।
তামিম বলেছেন, “তোকে নিয়ে বলার আছে অনেক কিছু্ই। সেই ছেলেবেলা থেকে একসঙ্গে খেলছি, বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে, বিভিন্ন পর্যায়ে, রুমমেট ছিলাম অনেকবার। কাছ থেকে দেখেছি তোকে। কোনো এক সময় কোনো এক উপলক্ষে কোনো প্ল্যাটফর্মে নিশ্চয়ই বলব সবকিছু। তবে আজকের দিনের জন্য শুধু একটিই কথা, বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ১০০ টেস্ট খেলার মাইলফলক তোর চেয়ে বেশি আর কেউ ডিজার্ভ করে না। আশা করি, ভবিষ্যতে এই অর্জনে তোর পাশে নাম লেখাবে আরো অনেকেই। কিন্তু তুই প্রথম, এটা তোরই প্রাপ্য।”
মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ শুধু মুশফিকুর রহিমের সতীর্থই নন, পরিবারের একজন। সম্পর্কে তারা ভায়েরা-ভাই। মুশফিকুরের অর্জনে মাহমুদউল্লাহ খুঁজে পেয়েছেন পরিবারের গর্ব, “আশা করি ভালো আছ। তোমার শততম টেস্টের জন্য আমি শুভকামনা জানাচ্ছি। আমি মনে করি একটা বিরাট অর্জন তোমার জন্য। একই সঙ্গে বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য। এছাড়া আমাদের সবার বিশেষ করে আমাদের পরিবারের জন্য বিরাট একটি গর্বের মুহূর্ত। আমার জন্যও তা-ই। আমি তোমার সঙ্গে অনেক বছর ক্রিকেট খেলেছি। এটা অনেক অনেক বড় অর্জন। যেটা বলতে চাই শুধু, অনেক অনেক শুভকামনা। তোমার অনুপ্রেরণা, তাড়না, পরিশ্রম সবকিছু তোমার মাইলফলকের হয়ে কথা বলছে। তোমার জন্য অনেক অনেক খুশি। ভালো থেক। আশা করি ভালো যাবে সময়টা।”
উইকেটরক্ষক ব্যাটার লিটন বলেছেন, “অনেক অনেক অভিনন্দন আপনার বিশাল অর্জনের জন্য। আমি নিজেকে ভাগ্যবান মনে করি। আমি অনেক দিন ধরে আপনার সঙ্গে ড্রেসিংরুম শেয়ার করি। আমি খুবই ভাগ্যবান যে আপনার সঙ্গে বাংলাদেশ দলকে প্রতিনিধিত্ব করতে পেরেছি। আপনার একশতম টেস্ট যেন স্মরণীয় হয়ে থাকে এই দোয়া করি। শুভ কামনা।”
বাংলাদেশ দলের সাবেক অ্যানালিস্ট শ্রীনিবাস চন্দ্রশেখরন ২০১৮ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত বাংলাদেশ দলে কাজ করেছেন। মুশফিকুরকে শুভেচ্ছা জানিয়ে এই ভারতীয় বলেছেন, “মুশি ভাই! ১০০ টেস্ট। অবিশ্বাস্য এক মাইলস্টোন। পরিশ্রম, কঠোরতা ও শৃঙ্খলা—এ সবকিছুর মধ্য দিয়ে এগিয়ে গর্বের সঙ্গে বয়ে চলছে বাংলাদেশ ক্রিকেটকে। দেশের প্রথম হওয়ায় এটা আরো আইকনিক হয়ে উঠেছে। এগিয়ে যাও চ্যাম্প! তুমি চারপাশে সবার প্রেরণা। বিশেষ এই দিনে সেখানে থাকতে পারলে ভালো লাগত। অবিস্মরণীয় করে তোলো।”