খেলাধুলা

৫২ বছর পর প্রথমবার বিশ্বকাপে হাইতি

হাইতির ক্রীড়া ইতিহাসে এটি নিঃসন্দেহে এক মহামুহূর্ত হয়ে থাকবে। গ্যাং সহিংসতা, রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অর্থনৈতিক টানাপোড়েনে বিপর্যস্ত দেশটিতে এমন আনন্দের খবর বহু বছর শোনা যায় না। কিন্তু সব প্রতিকূলতা পেরিয়ে প্রায় অর্ধ-শতাব্দী পর (১৯৭৪ সালে সবশেষ) প্রথমবারের মতো হাইতি নিশ্চিত করল বিশ্বকাপের মূলপর্বে জায়গা।

কুরাসাওতে মঙ্গলবার ২–০ গোলে নিকারাগুয়াকে হারানোর পর, একই রাতে হন্ডুরাসের কোস্টারিকার সঙ্গে গোলশূন্য ড্র; এই দুই ফল মিলে নিশ্চিত হয়ে যায় হাইতির বিশ্বকাপযাত্রা। হাইতির গোলদাতা ছিলেন রুবেন প্রভিডেন্স ও লুইসিয়াস ডিডসন।

দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি, হাইতি আজ আর নিজেদের দেশে ফুটবল খেলতেই পারে না। রাজধানীর স্টেডিয়াম গত বছর গ্যাংদের দখলে চলে যায়। ফলে দলটিকে ২০২১ সালের কানাডার বিপক্ষে ম্যাচের পর থেকেই ঘরের মাঠে নামতে হয়নি। তারা তাদের সব ‘হোম ম্যাচ’ খেলতে বাধ্য হচ্ছে দেশের বাইরে, কুরাসাওতে।

হাইতির এই জয় এল এক বিশেষ দিনে (১৮ নভেম্বর), যে দিনটি স্মরণ করিয়ে দেয় ভেরতিয়ের যুদ্ধের কথা। ১৮০৩ সালে ফরাসিদের বিরুদ্ধে হাইতির স্বাধীনতা সংগ্রামের চূড়ান্ত সাফল্যের দিন।

বাছাইপর্বে হাইতি ছিল তাদের গ্রুপের শীর্ষে হন্ডুরাসের সঙ্গে সমান পয়েন্টে। শেষ ম্যাচে প্রতিদ্বন্দ্বীর চেয়ে অন্তত এক পয়েন্ট বেশি পেলেই মিলত বিশ্বকাপের টিকিট এবং সেটিই তারা করে দেখাল।

পানামা ও কুরাসাওয়ের সঙ্গে হাইতি এবার প্রতিনিধিত্ব করবে কনকাকাফ অঞ্চল থেকে।