লাইফস্টাইল

কম খাওয়ার অনেক উপকারিতা 

পরিমিত আহার বা কম খাবার গ্রহণের ফলে কম ক্যালোরি গ্রহণ করা হয়। এতে শরীরের অতিরিক্ত মেদ কমে যায় এবং স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখা সহজ হয়। এ ছাড়াও কম খাওয়ার নানা উপকারিতা রয়েছে।  যদিও কম খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলা মোটেও সহজ নয়। গবেষকেরা জানিয়েছেন, কম খাওয়ার জন্য প্রচণ্ড রকমের ইচ্ছাশক্তি প্রয়োজন হয়।  

কম খাবার গ্রহণ করার উপকারিতা

খাবার গ্রহণ করার সময় যদি পেটের অন্তত ২০ ভাগ খালি থাকে তাহলে শরীরের হজম প্রক্রিয়ায় কম শক্তি ব্যয় হয়। এর ফলে সার্বিকভাবে শক্তি বেশি অনুভূত হয় এবং ক্লান্তি কম লাগে। বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে, ‘‘ক্যালোরি নিয়ন্ত্রণ বা কম খাওয়া দীর্ঘায়ু হওয়ার সম্ভাবনা বাড়াতে পারে এবং বার্ধক্য প্রক্রিয়া ধীর করে দিতে পারে।’’

পরিমিত খাবার গ্রহনের অভ্যাস হৃদরোগ, টাইপ ২ ডায়াবেটিস এবং নির্দিষ্ট কিছু ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতেও সাহায্য করতে পারে। পেট ভর্তি করে খাবার গ্রহণ করলে তন্দ্রাভাব আসে, কিন্তু অল্প খাবার গ্রহণ করলে এমনটা হয় না।  ফলে মনোযোগ বাড়ে এবং মানসিক সতর্কতা বৃদ্ধি পায়। 

অল্প পরিমাণ খাবার খেয়েও প্রয়োজনীয় পুষ্টি পেতে পারেন। এজন্য  সকালে রুটি, ডিম ভাজা, সবজি খেতে পারেন। দুপুরের আগে অন্তত একটা ফল, বিশেষ করে টক ফল খেতে পারেন। এরপর দুপুরে পরিমাণমতো ভাত, মাছ, পাতলা ডাল, সবজি খেতে পারেন। বিকেলে মুড়ি খেতে পারেন। রাতে রুটি বা অল্প ভাত, এবং সালাদ খেতে পারেন।