সাতসতেরো

ট্রয় নগরী যেভাবে প্রতিষ্ঠা হয়েছিলো

বর্তমান তুরস্কের একপ্রান্তে অবস্থিত ‘হিসারলিক’  কে এক সময়ের ট্রয় নগরী বলে ধারণা করা হয়। ইতিহাসবিদদের মতে, ‘‘ট্রয় হলো ব্রোঞ্জ যুগের একটি প্রসিদ্ধ শহর’’। এটি এজিয়ান সাগরের উপকূলে অবস্থিত। জানা যায়,  খ্রিস্টপূর্ব ৩০০০ সালের দিকে গড়ে ওঠে এ নগরী। বর্তমান এশিয়ার সঙ্গে পশ্চিমা বিশ্বের তৎকালীন যোগাযোগের মাধ্যম ছিল ট্রয়।

জার্মান প্রত্নতত্ত্ববিদ হেনরিখ শেইলম্যান ১৮৭০ সালে চানাক্কেলের ৩০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং ইজিয়ান সাগরের ৬ কিলোমিটার পূর্বে প্রাচীন এই নগরী খুঁজে পান। এরপর শুরু হয় খননকাজ, দুনিয়াজুড়ে ইতিহাসবিদদের মধ্যে তোলপাড় পড়ে যায়। এই ট্রয় নগরী নিয়ে, ইলিয়াড-ওডিসিতে চমকপ্রদ কাহিনি উপস্থাপন করেছেন গ্রিক কবি হোমার। 

দার্দানুস-এর প্রতিমূর্তি। ছবি: সংগৃহীত

 মানব সভ্যতায় প্রথম ট্রোজানরাই ঘরে জানালা ও দরজার ব্যবহার শিখেছিল।  এ ছাড়াও তারা শিখেছিল মৃৎশিল্প, আধুনিক স্থাপত্যরীতি, নগর পরিচালনা কৌশল।

গ্রীক দেবতা জিউস এবং সমুদ্র দেবী ইলেকট্রার পুত্র দার্দানুস প্রথম এশিয়া মাইনরে বসতি স্থাপন করেন।এবং দার্দানিয়া শহরের পত্তন করেন। তিনিই ট্রোজান রাজবংশের পৌরাণিক পূর্বপুরুষ হিসেবে গণ্য হন। প্রচলিত কাহিনী অনুসারে, দার্দানুস প্রথমে গ্রিসের আর্কেডিয়া থেকে স্যামোথ্রেস দ্বীপে যান এবং পরে একটি বন্যার কারণে বা ভাই ইসিয়নের মৃত্যুর পর সেখান থেকে ট্রয়ে চলে আসেন।