বিনোদন

ভূমিকম্প: আতঙ্কের অভিজ্ঞতা জানালেন তারকারা

রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে এ ভূমিকম্প হয়। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির তীব্রতা ৫ দশমিক ৭ ছিল বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আকস্মিক ভূমিকম্পের তীব্রতায় সারা দেশের মানুষের মধ্যে চরম আতঙ্ক সৃষ্টি করে। দ্রুত রাস্তায় নেমে আসেন রাজধানীবাসী। এই কম্পনে আতঙ্কগ্রহস্ত হয়ে পড়েন দেশের তারকারা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সেই ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা প্রকাশ করেছেন তারা। 

চিত্রনায়িকা বর্ষা লিখেছেন, “আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহর রহমত না হলে আরো ৫–৬ সেকেন্ডে কী হতো! একদিন এমন এক জুম্মাবারে, এমন একটি ঝাঁকুনিতে সব ধ্বংস হয়ে যাবে। সূরা যিলযালে আল্লাহ সেই দৃশ্যের ভয়াবহতা বলে দিয়েছেন। যারা উঁচু দালান থেকে ভূমিকম্প অনুভব করেছেন, তারা ভালো টের পেয়েছেন। সেই দিন আসন্ন—অবশ্যই আসবে। ঠিক এমনই কোনো এক জুম্মাবারে।” 

ছোট পর্দার দর্শকপ্রিয় অভিনেতা ফারুক আহমেদ তার অভিজ্ঞতা জানিয়ে ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন। তাতে এ অভিনেতা লেখেন, “আমি থাকি ১৪ তলা ভবনের ৫ম তলায়। নাস্তা খেয়ে বসেছিলাম, হঠাৎ তীব্র ঝাঁকুনি।  সমস্ত বিল্ডিং কাঁপছে। জানালা দিয়ে দেখলাম, পাশের বিল্ডিং দোলনার মতো দুলছে। মানুষজন চিৎকার করছে; আমরা রুমের আড়ার নিচে দাঁড়ালাম। মনে হচ্ছিলো, পুরা ইমারত ভেঙে পড়বে। আমার দীর্ঘ জীবনে ভূমিকম্পের কম্পন বহুবার অনুভব করেছি। এমন তীব্রতা কখনো অনুভব করিনি। সবাই ভালো থাকুন।” 

ছোট ও বড় পর্দার অভিনেতা আব্দুন নূর সজল বিস্ময় প্রকাশ করে লিখেছেন, “এটা কি? ভূমিকম্প! আল্লাহ সবাইকে হেফাজত করুন।” অভিনেতা রওনক হাসান লিখেছেন, “ওরে ঝাঁকি! এ কি ভূমিকম্প! সবাই ঠিক আছেন তো?” অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী লেখেন, “ভূমিকম্প। আশা করছি, সবাই নিরাপদে আছেন।”  

শ্রোতাপ্রিয় সংগীতশিল্পী ইমরান মাহমুদুল ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন। তাতে তিনি লিখেছেন, “আল্লাহ, জীবনে এত বড় ভূমিকম্প প্রথমবার অনুভব করলাম। আল্লাহ সবাইকে হেফাজত করো।” ছোট পর্দার আলোচিত অভিনেতা খায়রুল বাসার লেখেন, “সকাল সকাল কি এক বিদিক ঝাঁকুনি! আল্লাহ আমাদের নিরাপদ রাখুন।” 

অভিনেতা রাশেদ মামুন অপু তার ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। আতঙ্কগ্রস্ত হওয়ার খবর জানিয়ে এই অভিনেতা লেখেন, “এ যাত্রায় ঢাকা শহর বেঁচে গেল। বাসায় একা ছোটটা (ছোট ছেলে) পাশে ড্রইং স্কুলে, বড়টা (বড় ছেলে) স্কুলে পরীক্ষা দিচ্ছে। মেঝেতে বসে ছিলাম, হঠাৎ মনে হলো চারপাশ ভেঙে আসছে। নিচ থেকে ওপর দিকে টানা ঝাঁকুনি—চারপাশের কাঁচের ফিটিংস ও জিনিসপত্র ঝনঝন শব্দ করছে।”

পরের অনুভূতি ব্যক্ত করে অপু লেখেন, “একসময় মনে হলো আর বাচ্চাদের মুখ দেখা হবে না। ছয়তলা সিঁড়ি দৌড়ে নেমে রাস্তা ধরে ছোটটার স্কুলে ছুটলাম। আলহামদুলিল্লাহ, ওরা সবাই ভালো আছে।”