এশিয়া কাপ রাইজিং স্টারস তথা এমার্জিং এশিয়া কাপের প্রথম সেমিফাইনালে ভারতকে সুপার ওভারে হারিয়ে ফাইনালে নাম লিখিয়েছে বাংলাদেশ। আজ শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় কাতারের দোহায় সেমিফাইনালে বাংলাদেশ আগে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেটে ১৯৪ রান করে। জবাবে ভারতও ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৯৪ রান করে।
তাতে ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে। সেখানে ভারত আগে ব্যাট করতে নেমে পর পর দুই বলে ২ উইকেট হারিয়ে কোনো রান করতে পারে না। বাংলাদেশ ব্যাট করতে নেমে প্রথম বলে উইকেট হারায়। তবে পরের বলটি ওয়াইড হলে জয় নিশ্চিত হয়, নিশ্চিত হয় ফাইনাল।
ফাইনালে রোববার শ্রীলঙ্কা অথবা পাকিস্তানের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।
আগে ব্যাট করতে নেমে পাওয়ার প্লে’তে ১ উইকেটে ৪৯ রান তোলে বাংলাদেশ। ১০ ওভার শেষে রান দাঁড়ায় ২ উইকেটে ৮৫। ১৫ ওভার শেষে ৪ উইকেটে ১১৯। এমনকি ১৮ ওভারের মাথায় বাংলাদেশের রান ছিল ৬ উইকেটে ১৪৪। সেখান থেকে শেষ দুই ওভারে ৫০ রান তুলে বাংলাদেশের রান ১৯৪ তে নিয়ে যান এসএম মেহরাব। তিনি মাত্র ১৮ বলে ১টি চার ও ৬ ছক্কায় অপরাজিত ৪৮ রান করেন। ইয়াসির তার সঙ্গে ৯ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় করেন অপরাজিত ১৭ রান।
তাদের আগে উদ্বোধনী ব্যাটার হাবিবুর রহমান সোহান ৩টি চার ও ৫ ছক্কায় ৬৫ রান করেন। জিশান আলম করেন ২৬। বল হাতে ভারতের গুরজাপনিত সিং ৪ ওভারে ৩৯ রানে ২টি উইকেট নেন।
১৯৪ রান তাড়া করতে নেমে ভারতের শুরুটা হয় উড়ন্ত। ৩.৩ ওভারেই তারা তুলে ফেলে ৫৩ রান। বৈভব সূর্যবংশী মাত্র ১৫ বলে ২ চার ও ৪ ছক্কায় ৩৮ রান করেন। এরপর অবশ্য তিনি আউট হন। তিনি আউট হওয়ার পর থামে ভারতের রানের চাকা।
তবে প্রিয়ানশ আরিয়ার ৪৪, জিতেশ শর্মার ৩৩ ও নেহাল ভাদেরার অপরাজিত ৩২ রানের ইনিংসে ভারত দারুণ ফাইট দেয়। শেষ ওভারে জেতার জন্য ভারতের দরকার ছিল ১৬ রান। আশুতোষ প্রথম ৪ বলে ১২ রান তুলে ফেলেন। এরপর অবশ্য আউট হন তিনি। তাতে শেষ বলে জিততে প্রয়োজন হয় ৪ রান। বাংলাদেশের বাজে ফিল্ডিংয়ের সুযোগ নিয়ে তারা ৩ নিতে পারে। তাতে ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে।
সেখানে রিপন মন্ডল প্রথম দুই বলে জিতেশ শর্মা ও আশুতোষ শর্মাকে আউট করলে ভারত কোনো রান করতে পারে না। আর বাংলাদেশের সামনে লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়ায় মাত্র ১। সেটা করতে গিয়ে ইয়াসির আলী প্রথম বল উড়িয়ে মেরে আউট হন। পরের বলটি আকবল আলী খেলতে না পাররেও ওয়াইড হয় এবং বাংলাদেশ জিতে যায়।