নরসিংদীতে ভূমিকম্পে বাসার পাশের নির্মাণাধীন ভবনের দেয়াল ধ্বসে নিহত কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার দেলোয়ার হোসেন উজ্জ্বল (৩৮) ও তার ছেলে ওমর ফারুকের (১০) দাফন সম্পন্ন হয়েছে। একই ঘটনায় নিহতের দুই কন্যা আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে।
নিহতরা পাকুন্দিয়া পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। তাদের মৃত্যুতে এলাকায় শোক নেমে এসেছে।
শনিবার (২২ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় পাকুন্দিয়ার উত্তরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাদের দাফন সম্পন্ন হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ পাটকল কর্পোরেশনের নিয়ন্ত্রণাধীন নরসিংদীর ইউএমসি জুটমিলের সাঁট-মুদ্রাক্ষরিক কাম-কম্পিউটার অপারেটর পদে চাকরি করতেন কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার পৌর সদরের উত্তরপাড়া গ্রামের দেলোয়ার হোসেন উজ্জ্বল। থাকতেন নরসিংদীর গাবতলী এলাকার একটি ভাড়া বাসায়।
শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সকালে ভূমিকম্পের সময় প্রাণ বাঁচাতে ছেলে-মেয়েদের নিয়ে ছুটছিলেন নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে। কিন্তু দৌঁড়ে বাসা থেকে বের হয়ে কিছুদূর যেতে না যেতেই তাদের মাথায় একটি নির্মাণাধীন ভবনের দেয়াল ধসে পড়ে। তাদের উদ্ধার করে নরসিংদী জেলা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দেলোয়ার হোসেন উজ্জ্বলকে মৃত ঘোষণা করেন।
সংকটাপন্ন অবস্থায় তার শিশুপুত্র হাফেজ ওমরকে পাঠানো হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যা ৬টার দিকে তারও মৃত্যু হয়। অপরদিকে, তার আহত দুই মেয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন নরসিংদী জেলা সদর হাসপাতালে।
এর আগে, শুক্রবার গভীর রাতে পৌঁছায় ভূমিকম্পের সময় নিহত বাবা ও ছেলের লাশ কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ার উত্তরপাড়া গ্রামে। সেখানে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। পরিবার -স্বজনদের আহাজারিতে ভারি হয়ে ওঠে বাতাস। শোকের ছায়া নেমে এসেছে পুরো পাকুন্দিয়া উপজেলা জুড়ে।
শনিবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে উত্তরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত তাদের নামাজে জানাজায় পাকুন্দিয়াসহ জেলার বিভিন্ন এলাকার ধর্মপ্রাণ মুসল্লী ও নিহতের সহকর্মীরা অংশ নেন।