সারা বাংলা

নির্বাচন হতেই হবে, না হলে দেশে সংকট হবে: ডা. শফিকুর

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘‘ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই। সেটা আমাদের তৈরি করতে হবে। আপনারা প্রস্তুত থাকুন, এই নির্বাচন হতেই হবে। এই নির্বাচন না হলে দেশে সংকট দেখা দেবে। আমরা কোনো সংকট তৈরি হতে দেব না।’’

তিনি আরো বলেন, ‘‘নির্বাচনের দিন গণভোট চাই না। নির্বাচনের দিন গণভোট হলে জেনোসাইড (গণহত্যা) হওয়ার ঝুঁকি আছে।’’

শনিবার (২২ নভেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রাম নেমে নগরের চকবাজার প্যারেড মাঠে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে হেলিকপ্টারযোগে নগরের চকবাজারের প্যারেড মাঠে অবতরণ করেন তিনি।

দিনের কর্মসূচি অনুযায়ী জামায়াতের আমীর ডা. শফিকুর রহমান আকবর শাহ থানার আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া (পূর্ব ফিরোজ শাহ কলোনি) বড় মাদ্রাসার বার্ষিক মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন। এরপর তিনি সন্ধ্যা ৬টায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রামের উদ্যোগে আয়োজিত নির্বাচনী দায়িত্বশীল সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকেন। রাতে ১০টায় দিকে বিমান যোগে চট্টগ্রাম ত্যাগ করবেন।

সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতিতে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জামায়াতে ইসলামীর দাবি অব্যাহত আছে জানিয়ে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘‘পিআরের দাবি বাস্তবায়ন হবে জনগণের স্বার্থে। আমরা ক্ষমতায় গেলেও কথা দিচ্ছি, পিআর আমরা বাস্তবায়ন করবো ইনশাআল্লাহ।’’  

ডা. শফিকুর বলেন, ‘‘স্থানীয় নির্বাচনের কথা বলছি না, এখন তা সম্ভব নয়। এই সময়ের মধ্যে আমরা অবাস্তব কথা বা দাবি করছি না, করবও না। আমি জামায়াতের বিজয় চাই না, জনগণের বিজয় চাই। নির্বাচনের দিন গণভোট ভালোভাবে চাই না। নির্বাচনের দিন গণভোট হলে জেনোসাইড হতে পাারে।’’

জামায়াত আমির বলেন, ‘‘বিচক্ষণ, আন্তরিক, দেশপ্রেমিক ও সৎ নেতৃত্বের অভাব। এই চারটি উপাদান না থাকায় দেশ বারবার মুখ থুবড়ে পড়ছে। সুযোগ এসেছে, হারিয়ে গেছে। আমরা ২০২৪-এর এই সুযোগ আর হারাতে চাই না। এই সুযোগের ষোল আনা ব্যবহার করতে চাই কোনো দল নয়; গোটা জাতি, আপামর জনগণ , এই দেশের মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান সকলের জন্য।’’

তিনি আরো বলেন, ‘‘আমাদের যুদ্ধ হবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে। আপসহীন এই যুদ্ধে কারো কাছে মাথানত করব না। কারো কাছে আমাদের দেশের রাজনীতি ইজারা দিতে চাই না। কোনো পরিবার বা কোনো দল নয়, এই দেশের মালিক এই দেশের জনগণ। আমরা জনগণের হাতে জনগণের অধিকার তুলে দিতে চাই।’’

জামায়াত ইসলামী ক্ষমতার গেলে তাদের অগ্রাধিকার খাতের বিষয়ে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘‘আমাদের টপ প্রাইওরিটি (প্রধান অগ্রাধিকার) হবে দুর্নীতির কোমর ভাঙা ও বিধ্বস্ত শিক্ষা ব্যবস্থা তুলে ধরা। এই শিক্ষা হবে নৈতিক, এই শিক্ষা হবে আধুনিক। আধুনিক সরঞ্জাম ও উপাদান এতে থাকবে। কিন্তু শিক্ষিত মানুষগুলো যেন মানুষবিরোধী না হয়ে ওঠে, বরং মানুষের দরদসম্পন্ন মানুষ হয়ে গড়ে ওঠে, সেই মানবিক শিক্ষা আমরা নিশ্চিত করব।’’