কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলায় কৃষক রেফাজুল ইসলামকে (৪০) গুলি করে হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। নিহতের স্ত্রী তাসনিয়া খাতুন বাদী হয়ে শনিবার (২২ নভেম্বর) দুপুরে ভেড়ামারায় থানায় হত্যা মামলা করেন।
ভেড়ামারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রব তালুকদার মামলার করার তথ্য জানান। তবে পুলিশ ও নিহতের পরিবার মামলার আসামি সংক্রান্ত তথ্য এড়িয়ে গেছেন।
শুক্রবার (২১ নভেম্বর) রাত ৮টার দিকে উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের রায়টা পাথরঘাটা এলাকায় রেফাজুলকে গুলি করে হত্যা করা হয়। নিহত রেফাজুল ইসলাম একই এলাকার জামাত আলীর ছেলে। তিনি কৃষিকাজের পাশাপাশি গরু কেনাবেচা ও রাজমিস্ত্রির কাজও করতেন।
এদিকে, গুলি করা দেখে ফেলায় দুর্বৃত্তরা চা বিক্রেতাকে লালন মন্ডলকে (৫০) ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করেছে। তাকে ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনার পর এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
নিহতের স্ত্রী তাসনিয়া খাতুন বলেন, ‘‘শুক্রবার (২১ নভেম্বর) রাতে আমার স্বামী বাড়িতে ছিলেন। ফোন পেয়ে কথা বলতে বলতে বাড়ির বাইরে বেড়িয়ে যান। এর কিছুক্ষণ পরে গুলির শব্দ শুনতে পাই। বাড়ি থেকে আধা কিলোমিটার দূরে তার গুলিবিদ্ধ লাশ পড়ে ছিল। মুখের ভেতর অস্ত্র ঢুকিয়ে গুলি করা হয়েছে।’’
রেফাজুলের তেমন কোনো শত্রু ছিল না বলে জানিয়েছেন স্ত্রী তাসনিয়া খাতুন।
আহত লালন মন্ডলের জামাতা অনিক বলেন, ‘‘আমার শ্বশুর গরিব মানুষ। রায়টা পাথরঘাটা এলাকায় চা বিক্রি করেন। ঘটনাস্থলের পাশে নদীতে তার ছেলে মাছ ধরছিল। ঘটনার সময় তিনি ছেলেকে খুঁজতে বেরিয়েছিলেন। তখন তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে যখম করে। মুখ বাঁধা থাকায় কাউকে চিনতে পারেননি তিনি।’’
ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) একরামুল হক বলেন, ‘‘আহত ব্যক্তির মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তার শরীরে গুলির কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। তিনি শঙ্কামুক্ত আছেন।’’
ওসি আব্দুর রব তালুকদার বলেন, ‘‘নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। কিছু তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ কাজ করছে। তদন্তের স্বার্থে এ মুহূর্তে তথ্য গোপন রাখা হচ্ছে। দ্রুত আসামিদের গ্রেপ্তার করা হবে।’’