ভূমিকম্প একটি প্রাকৃতিক ঘটনা। যা পৃথিবীর ভূত্বককে উল্লেখযোগ্যভাবে পরিবর্তন করতে পারে। একটি শক্তিশালী ভূমিকম্পের ফলে ভূমিধস হতে পারে, হতে পারে মাটির তরলীকরণ, সমভূমিতে দেখা দিতে পারে ফাটল।
আবার ভূমিকম্পের সময় মূলত ভূ-ত্বকের টেকটোনিক প্লেটগুলির সংঘর্ষের ফলে তৈরি হতে পারে পর্বতমালা। কারণ যখন দুটি প্লেট একে অপরের দিকে সরে আসে, তখন চাপ সৃষ্টি হয় এবং শিলাস্তর ভাঁজ হয়ে ওপরে উঠে আসে, যা থেকে পর্বতের সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে ভঙ্গিল পর্বতের সৃষ্টি হয়ে থাকে। এ ছাড়া ভূমিকম্পের ফলে বদলে যেতে পারে নদীপথ। এমনকি সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতাও বদলে যেতে পারে।
পর্বত মূলত ভূ-ত্বকের টেকটোনিক প্লেটগুলির সংঘর্ষের ফলে সৃষ্টি হয়। যখন দুটি প্লেট একে অপরের দিকে সরে আসে, তখন চাপ সৃষ্টি হয় এবং শিলাস্তর ভাঁজ হয়ে উপরে উঠে আসে, যা থেকে ভঙ্গিল পর্বতের সৃষ্টি হয়।
ভূমিকম্পের ফলে সমুদ্রের নিচে বা উপকূলের কাছাকাছি সুনামি তৈরি হতে পারে। যা উপকূলীয় অঞ্চলকে প্লাবিত করতে পারে।
একটি শক্তিশালী ভূমিকম্পের ফলে শহর ও অবকাঠামো ধ্বংস হয়ে যায়। বদলে যেতে থাকে লাখ লাখ মানুষের জীবনযাত্রা। যেমন রাশিয়ার ভূমিকম্পে প্রায় ২০ লাখ মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছিলো। স্বল্প সময়ে বড় ধরণের পরিবর্তন এনে দিতে পারে ভূমিকম্প। এর প্রভাব হয় দীর্ঘমেয়াদী। সেটা সামাজিক ক্ষেত্রে, অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে এমনকি প্রাকৃতিক ক্ষেত্রেও।
ভূমিকম্প পৃথিবীকে ধ্বংস প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে দিতে পারে নতুন আরেক রূপ।
সূত্র: আমেরিকান মিউজিয়াম নেচার হিস্ট্রি অবলম্বনে