সারা বাংলা

বিএনপি প্রার্থী বললেন, সবাই খারাপ না, যারা খারাপ তারা পালিয়েছে

ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের কিছু নেতাকর্মী বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন। তাদের দলে স্বাগত জানিয়ে ফরিদপুর-৪ (ভাঙ্গা, সদরপুর ও চরভদ্রাসন) আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ও কৃষক দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম খান বাবুল বলেছেন, “আওয়ামী লীগের সবাই খারাপ না, যারা খারাপ তারা পালিয়েছেন। আবার কেউ কেউ গর্তে লুকিয়ে আছেন।” 

মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) বিকেলে ফরিদপুরের ভাঙ্গা মহিলা ডিগ্রি কলেজ মাঠে আয়োজিত উপজেলা বিএনপির এক উঠান বৈঠকে আওয়ামী লীগ নেতারা বিএনপিতে যোগ দেন। তাদের স্বাগত জানান বিএনপি প্রার্থী শহিদুল ইসলাম খান বাবুল।

সভায় আওয়ামী লীগ নেতা ও ভাঙ্গা সরকারি কেএম কলেজের সাবেক ভিপি আকরামুজ্জামান মিঠু, জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও ভাঙ্গা সরকারি কেএম কলেজের সাবেক জিএস লাভলু মুন্সী, পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল হক সুমন মুন্সী, ৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও কাউন্সিলর শেখ সৈয়াদ আলী, ৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতা লিয়াকত হোসেন মোল্লা, ৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি লাভলু ফকিরসহ অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী বিএনপিতে যোগ দেন। তারা আগামী নির্বাচনে ধানের শীষের পক্ষে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার অঙ্গীকার করেন।

শহিদুল ইসলাম বাবুল বলেন, “আওয়ামী লীগের সবাই খারাপ না, যারা খারাপ তারা পালিয়েছেন। আবার কেউ গর্তে লুকিয়ে আছেন।” 

তিনি বলেন, “যারা ভালো কাজ করবেন, তারা আমার সঙ্গে থাকুন। আমি আপনাদের সত্যিকারের উন্নয়ন দেব। আগামীতে বিএনপি ক্ষমতায় আসলে ফরিদপুর বিভাগ ঘোষণা করা হবে। ভাঙ্গা হাসপাতাল ১০০ শয্যায় উন্নীত করা হবে। মহিলা ডিগ্রি কলেজকে জাতীয়করণ করা হবে।”

সরকারি কে এম কলেজের সাবেক ভিপি আকরামুজ্জামান মিঠুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন- ভাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার ইকবাল হোসেন সেলিম, সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব মোল্লা, পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান পান্না, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ফজলে সোবহান শামীম ও সহ-সভাপতি ফারুকুজ্জামান।

বিএনপিতে যোগ দিয়ে শহিদুল হক বলেন, “আমি ছাত্র জীবন থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেছি। কোনো দিন দলকে ব্যবহার করে কোনো অন্যায় করিনি। দেশের জন্য রাজনীতি করি। দেশের স্বার্থে ভাঙ্গার মানুষের উন্নয়ের জন্য আমি বিএনপিতে যোগ দিয়েছি।”

ফরিদপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মুদারিস আলী ইছা নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিএনপিতে যোগদানের বিষয়ে বলেন, “অন্য দল থেকে আসায় বিএনপির ত্যাগী নেতারা বঞ্চিত হতে পারেন। তবে, কেবল অন্য দল করতো বলে কেউ বিএনপিতে আসতে পারবে না বা সব সময় তার দলের অপরাধের দায় নেবে-এমনটা হওয়া উচিত নয়।”

যারা বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন, তারা ভুল বুঝতে পারবেন এবং তাদের মধ্য থেকে স্বৈরাচারী মনোভাব দূর হবে এমনটি মনে করছেন তিনি।